২০২৫-২৬ অর্থবছরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে বরাদ্দ দেওয়া হবে ২ হাজার ৯৫৬ কোটি টাকা। এ ছাড়া সর্বোচ্চ ৭ লাখ ৭২ হাজার ১০৬ কোটি টাকা বরাদ্দা রাখা হবে অর্থ বিভাগের জন্য।
সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থান করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সংসদ না থাকায় তার বাজেট বক্তৃতা বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সম্প্রচার করা হচ্ছে।
বাজেট উপস্থাপনায় দেখা যায়, নির্বাচন কমিশনের জন্য আগামী অর্থবছরে মোট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৯৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে পরিচালনা ব্যয় ২ হাজার ৭২৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং উন্নয়ন বাজেট ২২৯ কোটি ৫ লাখ টাকা ব্যয় করবে ইসি। গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নির্বাচন কমিশনের জন্য বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ১৪১ কোটি ৮৫ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।
সোমবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বিটিভিসহ অন্যান্য বেসরকারি গণমাধ্যমে একযোগে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম বাজেট। এর আগে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম ২০০৭-০৮ ও ২০০৮-০৯ অর্থবছরের বাজেট টেলিভিশন ও বেতারের মাধ্যমে ঘোষণা করেছিলেন।
অর্থ উপদেষ্টা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য মোট সাত লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের বাজেট প্রস্তাব করেছেন, যা জিডিপির ১২.৭ শতাংশ। এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট পাঁচ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে মোট পাঁচ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার, যা জিডিপির ৯ শতাংশ। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে চার লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য উৎস হতে ৬৫ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করার চিন্তা রয়েছে সরকারের।
অর্থ উপদেষ্টার ভাষ্যে, একটি টেকসই ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কিছুটা সংস্কারভিত্তিক এই বাজেটে উন্নয়নের সুফল সবার কাছে পৌঁছে দিতে পরিকল্পনা থাকছে।
উল্লেখ্য, সংসদ না থাকায় আগামী ৩০ জুন রাষ্ট্রপতি বাজেট অধ্যাদেশে সই করবেন, ১ জুলাই কার্যকর হবে নতুন বাজেট। তবে বাজেটের অনেক অংশ, বিশেষ করে ট্যাক্স ও কাস্টমসসংক্রান্ত বিষয়গুলো ২ জুন উপস্থাপনের দিন থেকেই কার্যকর হবে।
প্রস্তাবিত বাজেটে ন্যূনতম আয়কর ৫০০০ টাকা, নতুনদের ১০০০
দাম বাড়তে পারে মোবাইল ফোনের