ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদের কাছে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমান ২৪২ যাত্রী নিয়ে বিধ্বস্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই মার্কিন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের শেয়ারদরে বড় ধরনের পতন দেখা গেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১২ জুন) প্রাক-বাজার লেনদেনে বোয়িং কোম্পানির শেয়ারদর ৭.৫ থেকে ৮ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়; যা সাম্প্রতিক মাসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় দৈনিক পতন।
বাংলাদেশ সময় বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বোয়িংয়ের শেয়ারের দাম কমে ১৯৭ ডলার ৮২ সেন্টে নেমেছে।
এই দুর্ঘটনা ড্রিমলাইনার সিরিজের জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচনা করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ এই ঘটনার আগ পর্যন্ত এই সিরিজের বিমানের দুর্ঘটনার কোনো রেকর্ড ছিল না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই দুর্ঘটনার পর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একটি খুবই দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
স্যাক্সো ইউকে-এর বিশ্লেষক নিল উইলসন বলেন, “ড্রিমলাইনার প্রোগ্রাম বোয়িংয়ের অন্যতম আস্থার জায়গা ছিল। এই দুর্ঘটনা সেই আস্থাকে বড় ধরনের নাড়া দিয়েছে।”
বোয়িং অবশ্য দুর্ঘটনার পর এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি। তবে মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) ও ভারতীয় ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ) দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে যৌথ তদন্ত শুরু করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, বোয়িং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন মান নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা সমস্যায় ভুগেছে। ৭৩৭ ম্যাক্স সিরিজের একাধিক প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার পর প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ সময় ধরে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় ছিলো। এই নতুন দুর্ঘটনা সেই পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টায় নতুন বাধা হিসেবে দেখা দিচ্ছে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, বিমান দুর্ঘটনায় এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারের কোনো আরোহী বেঁচে নেই। বিমানটিতে মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন।
স্থানীয় পুলিশপ্রধান জিএস মালিক জানিয়েছেন, উড়োজাহাজটিতে থাকা কোনো যাত্রীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই। বার্তা সংস্থা এপির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। জিএস মালিক জানান, আবাসিক এলাকায় উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ায় কিছু স্থানীয় বাসিন্দারও মৃত্যু হতে পারে।
তবে সব আরোহীর মৃত্যুর ব্যাপারে এখনো বিস্তারিত বা আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।
