ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে পৌঁছতে কতক্ষণ সময় লাগে?

আপডেট : ১৯ জুন ২০২৫, ১০:৫৮ পিএম

ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলায় ইরানের পরমাণু স্থাপনা এবং গুরুত্বপূর্ণ সামরিক নেতারা লক্ষ্যবস্তু হওয়ার পর পাল্টা জবাব দিতে একযোগে শত শত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে তেহরান। এসব হামলার অনেকাংশই প্রতিহত করা গেলেও, কিছু ক্ষেপণাস্ত্র তেল আবিবসহ ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ শহরে সরাসরি আঘাত হেনেছে। এতে প্রাণহানি এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের তথ্য অনুযায়ী, ইরান বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারের অধিকারী—সংখ্যায় যা ৩,০০০-এর বেশি। এর মধ্যে অনেক মিসাইল এতটাই দ্রুতগতিসম্পন্ন যে মাত্র ১২ থেকে ১৫ মিনিটেই ইসরায়েলের আকাশসীমায় পৌঁছাতে সক্ষম।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরান গত কয়েক দশকে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে সুপরিকল্পিতভাবে আধুনিক করেছে। স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াও রয়েছে ভূমি, আকাশ ও মোবাইল লঞ্চার থেকে ছোঁড়া যায় এমন প্রযুক্তিনির্ভর অস্ত্র। বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ২ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি পর্যন্ত পৌঁছায়।

ইরানের হাইপারসনিক প্রযুক্তি নিয়েও চলছে নতুন করে আলোচনা। দেশটির শীর্ষ সামরিক নেতাদের একজন কয়েক বছর আগে বলেছিলেন, “আমরা চাইলে মাত্র ৮ মিনিটেই ইসরায়েলকে ধ্বংস করে দিতে পারি।” ধারণা করা হয়, এই মন্তব্য ছিল ‘ফাত্তাহ-১’ সিরিজের হাইপারসনিক মিসাইলের দিকে ইঙ্গিত করে—যার গতি শব্দের চেয়ে প্রায় ১৫ গুণ বেশি (ম্যাক ১৫)।

চলমান সংঘাতে ইরান মূলত মাঝারি পাল্লার প্রচলিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে। তবে হাইপারসনিক অস্ত্র ব্যবহারেরও প্রমাণ মিলেছে বলে জানা গেছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, এইসব উচ্চ গতির মিসাইল প্রতিরোধ করা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। এ কারণেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরান কৌশলগতভাবে সুবিধা পাচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।

আরও পড়ুন