অ্যাসিস্ট্যান্ট (Assistant) শব্দটি মূলত ‘সহকারী’ বা ‘সাহায্যকারী’ অর্থে ব্যবহৃত হয়। এটি এমন একজন ব্যক্তিকে বোঝায় যিনি অন্য কাউকে কাজে বা দৈনন্দিন জীবনে সহায়তা করে। এছাড়াও, গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট (Google Assistant) এর মতো প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রেও এই শব্দটি ব্যবহৃত হয়, যা একটি ভার্চুয়াল সহকারী হিসেবে কাজ করে। যাকে বলে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট বলতে আমরা এমন একজন স্বাধীন ব্যাক্তিকে বুঝি যিনি ক্লায়েন্টের কাজ অফিসের বাইরে থেকে সম্পন্ন করতে পারেন। সাধারণত ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টরা বাসা থেকেই অনলাইনের মাধ্যমে অফিসের সকল কাজ করে থাকেন, সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নথিপত্রের সব রকমের অ্যাক্সেস আপনি দূর থেকেই মেইনটেইন করতে পারবেন।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে নিযুক্ত ব্যক্তিদের প্রায়শই প্রশাসনিক সহকারী কিংভা অফিস ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতে হয় যেখানে তাদের পূর্বের কাজের অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তবে সোশ্যাল মিডিয়া, কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট, ব্লগ পোস্ট লেখা, গ্রাফিক ডিজাইন এবং ইন্টারনেট মার্কেটিং-এ দক্ষ ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টদের জন্য নতুন সুযোগ উন্মুক্ত হচ্ছে।
এর সম্ভাব্য কাজের ধরণ
- একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হলেন একজন স্ব-নিযুক্ত কর্মী যিনি দূরবর্তী অবস্থান থেকে কিংবা হোম অফিস থেকে তার ক্লায়েন্টদের প্রশাসনিক সাপোর্ট প্রদান করে থাকেন।
- সাধারণত যে কাজগুলি প্রায়শই করতে হয় তার মধ্যে রয়েছে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নির্ধারণ, ফোন কল করা, ভ্রমণের ব্যবস্থা করা এবং ইমেল অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করা ইত্যাদি।
- কিছু ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট গ্রাফিক ডিজাইন, ব্লগ লেখা, বুককিপিং, সোশ্যাল মিডিয়া এবং মার্কেটিং এ সাপোর্ট প্রদানে বিশেষজ্ঞ।
- একজন বায়ারের জন্য ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগের একটি সুবিধা হল তাদের যখন যে কাজ প্রয়োজন সেই কাজের জন্য হায়ার করে থাকে।
গুগল ফটোজে আবার চালু হলো ‘আস্ক ফটোজ’ এআই সুবিধা