কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে গুগল। প্রতিষ্ঠানটি তাদের নতুন এআই মডেল জেমিনি ৩ উন্মোচনের পরই সরাসরি সার্চ সেবায় যুক্ত করেছে। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে এক ঘোষণায় বিষয়টি জানায় গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেট। এ ধরনের সিদ্ধান্ত গুগলের ইতিহাসে এই প্রথম।
এর আগে জেমিনি মডেলের নতুন সংস্করণ ব্যবহারকারীর হাতে পৌঁছাতে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হতো। এবার সেই ধারা বদলেছে। ঘোষণার দিনেই সার্চে সক্রিয় হয়ে গেছে জেমিনি ৩।
গুগলের প্রধান নির্বাহী সুন্দর পিচাই বলেন, “এটাই আমাদের সবচেয়ে উন্নত ও বুদ্ধিমান মডেল। ব্যবহারকারীরা শুরু থেকেই এর সুবিধা পাবেন।”
গুগল জানিয়েছে, জেমিনি ৩ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে। এআই কর্মক্ষমতা যাচাইয়ের যেসব পরীক্ষায় বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতা করে, সেসবের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জেমিনি ৩ এগিয়ে আছে।
নতুন মডেলের ওপর ভিত্তি করে গুগল নিয়ে এসেছে আরেকটি বড় ফিচার— জেমিনি এজেন্ট। এটি ব্যবহারকারীর হয়ে বহু ধাপের জটিল কাজ করতে পারে। যেমন চাকরির আবেদন সাজানো, ইমেইল সংগঠিত করা, ভ্রমণ পরিকল্পনার বুকিং করা, এমনকি ব্যক্তিগত ডেটা বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্তও দিতে পারে।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা বলছেন, গুগলের এআই ল্যাবের প্রধান ডেমিস হাসাবিস যে ‘সর্বজনীন সহকারী’-এর স্বপ্ন দীর্ঘদিন ধরে দেখছেন, জেমিনি এজেন্ট সেই স্বপ্নের বাস্তব রূপ।
জেমিনি অ্যাপেও এসেছে বড় পরিবর্তন। এখন যেকোনো প্রশ্নে উত্তর আসবে ওয়েবসাইটের মতো করে। চিত্র, ভিজ্যুয়াল উপাদান, ইন্টারঅ্যাক্টিভ অংশ— সব মিলিয়ে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা আরও মসৃণ হবে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এখন আর শুধু গবেষণা নয়, এআই নিয়ে প্রতিযোগিতা বাস্তব আয়ের ওপর দাঁড়িয়ে গেছে। গুগলের ক্লাউড সেবায় এআই-সম্পর্কিত আয় যেমন বাড়ছে, তেমনি সার্চে জেমিনি ৩–এর যুক্ত হওয়া প্রযুক্তি দুনিয়ায় নতুন বার্তা দিচ্ছে।
