চলমান যুদ্ধবিরতি এবং ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক রাফায় স্থানান্তরের পরিকল্পনার সমালোচনার মধ্যেই গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৮২ জন নিহত হয়েছে। শুক্রবার (১১ জুলাই) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।
গণমাধ্যমটি জানায়, মধ্য গাজার দেইর এল-বালাহে শিশুরা খাবারের লাইনে অপেক্ষা করার সময় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৯ শিশু এবং চার মহিলাসহ ১৫ জন নিহত হয়।
জাতিসংঘ শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) পরিচালক ক্যাথেরিন রাসেল ত্রাণপ্রার্থীদের ওপর হামলার নিন্দা প্রকাশ করে বলেছেন, ত্রাণ পেতে চাওয়া পরিবারগুলিকে হত্যা করা ‘অবিবেচনাপ্রসূত’।
ইউনিসেফের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘গাজায় অনেক মানুষ এই নিষ্ঠুর বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছে, কারণ মাসের পর মাস ধরে পর্যাপ্ত সাহায্যের সুযোগ পাচ্ছে না। সংঘাতের পক্ষগুলি বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার মৌলিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, সহায়তার অভাবের অর্থ হল- শিশুরা অনাহারের মুখোমুখি হচ্ছে এবং দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি বাড়ছে। জীবন রক্ষাকারী সহায়তা এবং পরিষেবাগুলি পূর্ণ মাত্রায় পুনরায় চালু না হওয়া পর্যন্ত অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের সংখ্যা বাড়তে থাকবে।
রাসেল ইসরায়েলের প্রতি ‘আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের পূর্ণ সম্মতি’ নিশ্চিত করার এবং ঘটনার তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে হামাস এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে বলেছে, এটি ইসরায়েলের ‘উপত্যকায় গণহত্যার চলমান অভিযানের’ অংশ।
ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটি বলেছে, স্কুল, রাস্তাঘাট, বাস্তুচ্যুত শিবির এবং বেসামরিক কেন্দ্রগুলিতে ইসরায়েল নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের নৃশংস গণহত্যা করছে। এটি একটি পরিকল্পিত আচরণ, যা বিশ্বের সামনে একটি সম্পূর্ণ জাতিগত নির্মূল অপরাধের সমান।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১,১৩৯ জন নিহত হয়েছে। অন্যদিকে কমপক্ষে ৫৭,৭৬২ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,৩৭,৬৫৬ জন আহত হয়েছেন।
