মস্তিষ্ক ও স্নায়ুরোগ চিকিৎসার প্রধান প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের (নিন্স) চিকিৎসা সেবায় বড় পরিবর্তন আসছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সদ্য জারি করা এক আদেশে প্রতিষ্ঠানটির শয্যা সংখ্যা ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজারে উন্নীত করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে নতুন শয্যাগুলোতে সেবা কার্যক্রম শুরুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ শাখার উপসচিব মো. শাহাদত হোসেন কবির স্বাক্ষরিত এক প্রশাসনিক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
আদেশে বলা হয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতির পরিপ্রেক্ষিতে এবং সংশ্লিষ্ট সব বিধি-বিধান, আনুষ্ঠানিকতা ও নিয়ম-কানুন যথাযথভাবে পালনের শর্তে এই প্রশাসনিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ৯ জুলাই হাসপাতালটির শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সম্মতির কথা জানায় অর্থ মন্ত্রণালয়। সেই সম্মতির ভিত্তিতেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শয্যা বৃদ্ধি ও বর্ধিত শয্যায় সেবা চালুর অনুমোদন দেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজধানী ঢাকায় স্নায়ুরোগ ও মস্তিষ্কঘটিত জটিল চিকিৎসার জন্য নির্ভরযোগ্য সরকারি প্রতিষ্ঠান বলতে একমাত্র নিন্স। তাই সেখানে শয্যা সংখ্যা বাড়ানো শুধু হাসপাতালের সক্ষমতা বৃদ্ধিই নয়, বরং সারা দেশের রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যসেবায় এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
হাসপাতালটির একটি সূত্র জানায়, বর্তমানে এখানে বছরে প্রায় ৫ লাখ রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসাসেবা নেন। প্রতিদিন গড়ে ১৫০০ থেকে ২০০০ রোগী বহির্বিভাগে আসেন। বর্তমান ৫০০ শয্যায় নিয়মিত ভর্তি থাকে প্রায় ৫৫০-৬০০ জন রোগী, যার কারণে প্রায়ই নতুন রোগী ভর্তি করা সম্ভব হয় না। শয্যা দ্বিগুণ হওয়ায় রোগীদের ভর্তির সুযোগ যেমন বাড়বে, তেমনি চিকিৎসকদের ওপর থেকে চাপও কিছুটা কমবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে চালু হওয়া এ ইনস্টিটিউটটি আধুনিক নিউরোসায়েন্সেস চিকিৎসার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সরকারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠার এক দশকের মাথায় এর পরিসর দ্বিগুণ হওয়াকে রোগীবান্ধব উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রশাসনিক অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ধাপে জনবল বৃদ্ধি, অবকাঠামো সম্প্রসারণ এবং সরঞ্জামাদি ক্রয়ের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ চাওয়া হবে। সেই প্রক্রিয়াও দ্রুত শুরু করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
