শীতের সকালে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া অনেকের কাছে উপভোগ্য হলেও হৃদরোগীদের জন্য এটি হতে পারে নীরব ঘাতক। চিকিৎসকদের মতে, শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হার্টের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়, যা করোনারি আর্টারি ডিজিজ, অ্যাঞ্জাইনা বা হার্ট ফেইলিউরে আক্রান্ত রোগীদের জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ঠান্ডা আবহাওয়ায় শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে রক্তনালীগুলো সংকুচিত হয়ে যায়। এতে রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং হার্টকে রক্ত সঞ্চালনে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে সমস্যা না হলেও হৃদরোগীদের ক্ষেত্রে এটি অ্যাঞ্জাইনা, ইস্কেমিয়া কিংবা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
শীতে হৃদরোগীদের জন্য ৫টি জরুরি সতর্কতা
১. উপযুক্ত পোশাক পরিধান: বাইরে বের হলে শরীর উষ্ণ রাখতে একাধিক স্তরে কাপড় পরুন। মাথা, হাত ও পা দিয়ে শরীর দ্রুত তাপ হারায়, তাই টুপি, হাতমোজা ও মোজা ব্যবহার করা জরুরি।
২. অতিরিক্ত পরিশ্রম পরিহার: শীতে ভারী কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। এই আবহাওয়ায় দ্রুত হাঁটা, দৌড়ানো বা ভারী কিছু তোলা হার্টের ওপর আকস্মিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
৩. শরীর অতিরিক্ত গরম হতে না দেওয়া: গরম কাপড় পরে অতিরিক্ত হাঁটাহাঁটি করলে শরীর ঘেমে যেতে পারে। এটি রক্তনালী প্রশস্ত করে হঠাৎ রক্তচাপ কমিয়ে দিতে পারে, যা হৃদরোগীদের জন্য বিপজ্জনক।
৪. ফ্লু শট গ্রহণ: শীতে ফ্লু বা সর্দি-জ্বরের প্রকোপ বাড়ে। ফ্লুর সংক্রমণ হৃৎপিণ্ডকে দুর্বল করে দিতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শে সময়মতো ফ্লু ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত।
৫. অ্যালকোহল বর্জন: শীতের ঠান্ডায় অ্যালকোহল শরীরকে উষ্ণ করে এমন ধারণা ভুল। এটি রক্তনালী প্রসারিত করে শরীরের তাপ দ্রুত কমিয়ে দেয়, যা হার্টের রোগীদের জন্য বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।
শীতকাল উপভোগ্য করে তুলতে এবং বড় ধরনের বিপদ এড়াতে হৃদরোগীদের জন্য সচেতনতা, নিয়মিত ওষুধ সেবন এবং নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনই হলো মূল রক্ষাকবচ।
ডিমেনশিয়ার শারীরিক লক্ষণ সমূহ
আপনার লিভার সুস্থ রাখবে যেসব খাবার