ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক দলিল ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ঘোষণা হচ্ছে আজ মঙ্গলবার। রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে সকাল থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হচ্ছে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’। দিনব্যাপী চলমান এই আয়োজনে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’-এর প্রথম ধাপের কর্মসূচি।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে এই ঘোষণাপত্র পাঠের মাধ্যমে তরুণ সমাজের প্রতিরোধ, সংস্কৃতির পুনর্জাগরণ এবং একটি ন্যায্য ও নৈতিক রাষ্ট্রব্যবস্থার রূপরেখা তুলে ধরা হবে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান ঘিরে মানুষ ঢাকায় আসতে শুরু করেছেন। শেষ মুর্হূতের প্রস্তুতি শেষে কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হবে দিনের প্রথম ধাপের কর্মসূচি।

অনুষ্ঠানের আয়োজনে রয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে জাতীয় সংসদ সচিবালয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ইসলামী সংগীত পরিবেশন করা হবে। এরপর একে একে মঞ্চ মাতাবেন কলরব শিল্পীগোষ্ঠী, নাহিদ ইসলাম, তাশফি, চিটাগাং হিপহপ হুড, সেজান, শূন্য ব্যান্ড, সায়ান, ইথুন বাবু ও মৌসুমি, সোলস ও ওয়ারফেজ।
দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে আয়োজনের এক বিশেষ পর্বে ‘ফ্যাসিস্টের পলায়ন ক্ষণ’ উদযাপন করা হবে। এরপর কনসার্টে দর্শকদের মাঝে নতুন মাত্রা যোগ করবেন ব্যান্ড তারকারা। বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে বেসিক গিটার লার্নিং স্কুলের পরিবেশনা ও সন্ধ্যার দিকে পারফর্ম করবে এফ মাইনর, পারশা এবং এলিটা করিম।
সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে মাগরিবের নামাজের বিরতির পর শুরু হবে দিনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় আয়োজন ড্রোন ড্রামা এবং আলো ঝলমলে ড্রোন শো। রাত ৮টার পর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর আকাশ রঙিন হয়ে উঠবে শত শত ড্রোনের আলোয়। এই আয়োজন শেষে মঞ্চে পরিবেশনায় অংশ নেবে জনপ্রিয় ব্যান্ড আর্টসেল।
বিকেলের দিকে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’-এর প্রথম ধাপের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ঘিরে দর্শনার্থীদের মধ্যে এক ধরনের রাজনৈতিক আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে। আয়োজকদের মতে, এই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে নতুন এক সামাজিক-রাজনৈতিক বিকল্প পথের সূচনা ঘটবে, যা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে বাস্তবে রূপ দেবে।
পাহাড়ে পৌঁছেছিল জুলাই আন্দোলনের ঢেউ
গণঅভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ কত দূর