ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ভুয়া ভাউচারে ইউএনওর বিরুদ্ধে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

আপডেট : ০৭ আগস্ট ২০২৫, ০৭:০৪ পিএম

ভুয়া ভাউচারে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি টাকা আত্মসাতে অভিযোগ উঠেছে। নিজ উপজেলা চেয়ারম্যানের ব্যবহৃত গাড়িতে তেল না নিয়ে ভুয়া ভাউচার করে বিল উত্তোলনের করেন তিনি।

উপজেলা রাজস্ব তহবিল থেকে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদের (উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়ি) জীপ গাড়িতে (ঠাকুরগাঁও-ঘ-০০৩০) জানুয়ারি থেকে এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত শহরের রুপসী বাংলা অয়েল ব্যাংক পাম্প থেকে ১ লাখ ৩ হাজার ৮১৮ টাকার, মে-জুন মাসে ৫৯ হাজার ২২৮ টাকা এবং জুন-জুলাই মাসে ৬৭ হাজার ৪২৯ টাকার তেল ক্রয় দেখানো হয়েছে। 

রূপসী বাংলা অয়েল ব্যাংকে গেলে দেখা যায় উল্টো চিত্র। গত ৪ মাসে প্রশাসকের গাড়িতে জ্বালানি নেওয়া হয়েছে ৩১ হাজার ৫৫৩ টাকার। মার্চ মাসে ৫ হাজার ৭৪ টাকা, এপ্রিলে ৭ হাজার ৪৩ টাকা, মে মাসে ৬ হাজার ২৯৩ টাকা এবং জুনে ১৩ হাজার ১৪৩ টাকা। পাশাপাশি পতিত সরকারের আমলে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারুল ইসলাম সরকারের ৬৭ হাজার ৪২৯ টাকার বকেয়া বিল পরিশোধ করেছেন উপজেলা পরিষদ। 

রূপসী বাংলা অয়েল ব্যাংকের ম্যানেজার শরিফুল ইসলাম হক বলেন, গত মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত ৩১ হাজার ৫৫৩ টাকার তেল নিয়েছেন। পূর্বের বকেয়া ৬৭ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন। এর বাইরে চেয়ারম্যানের গাড়িটি কোনো তেল নেয়নি। লক্ষাধিক টাকার ভাউচারটির সাথে পাম্পের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

গাড়িচালক রমজান আলী বলেন, আমি শুধু তেল নিই। ভাউচার করার দায়িত্ব আমার না। ভাউচার করেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। গত ৪ মাসে ৩১ হাজার ৫৫৩ টাকার তেল নিয়েছি। ১ লাখ ৩ হাজার ৮১৮ টাকার ভাউচার প্রশাসক স্যার করেছেন। সেটা তিনি আর পাম্প মালিকের বিষয়। আমি জানি না। আমি শুধুমাত্র ভাউচারটি জমা দিয়েছি। 

উপজেলা প্রশাসনের উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা রেবা খাতুন বলেন, খরচের বিল করার ক্ষমতা আমার নেই। ইউএনও স্যার যা করতে বলেন, সেটুকু করি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কথা বলতে চাননি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম। আগের আমলে চেয়ারম্যান লাখ লাখ টাকা লুটপাট করেছেন, তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? এমন মন্তব্যে করেন তিনি।

ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, অভিযোগগুলোর সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

জানা গেছে, সরকারি গাড়ি নিয়ে বাড়িতে যাতায়াত, একই ক্রয়কৃত মালামালের একাধিক বার ভাউচার, বিভিন্ন ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

NJ
আরও পড়ুন