মুগ, মসুর, মটর, ছোলা, কালাইসহ নানা রকম ডালে রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন ও খনিজের ভালো উৎস। এসব ডালের রয়েছে নিজস্ব পুষ্টিগুণ। তবে কার জন্য কোন ডাল উপকারী, তা নির্ভর করে শরীরের অবস্থা ও প্রয়োজনের ওপর।
বর্তমানে সুষম ডায়েটে ভাত-ডাল খেতেই বেশি পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদেরা। তাই কোন ডাল কারা খেলে বেশি উপকার পাবেন, তা জেনে রাখা ভালো।
মসুর ডাল
মসুর ডালে রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার, ম্যাগনেশিয়াম ও আয়রনে ভরপুর। এটি হজমে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে থাকা লেসিথিন লিভারে চর্বি জমতে বাধা দেয়, ফলে ফ্যাটি লিভার কমাতেও এটি উপকারী।
যারা ওজন কমাতে চাইছেন বা হজমের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য মসুর ডাল ভালো। অন্তঃসত্ত্বা নারীরা আয়রন ও ফোলেটের জন্য এ ডাল খেতে পারেন।
মুগ ডাল
পেটের সমস্যা, গ্যাস বা বুক জ্বালাপোড়া করে এমন রোগীদের জন্য মুগ ডাল খুব উপকারী। এতে থাকা ফাইবার হজমশক্তি উন্নত করে। মুগ ডাল রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে।
দ্রুত মেদ কমাতে চাইলে, ডায়াবেটিস, গ্যাস-বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা থাকলে মুগডাল ডাল খাওয়া যেতে পারে। ইউরিক অ্যাসিডের জন্য মসুর ডাল খেতে না পারলে বিকল্প হিসেবে মুগ ডাল খেতে পারেন।
ছোলার ডাল
ছোলার ডালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে, যা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও এই ডাল উপকারী।
ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য ছোলার ডাল ভালো। রক্ত স্বল্পতার সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে এ ডাল।
কালাইয়ের ডাল
প্রোটিন ও ভিটামিন বি-এর ভালো উৎস কালাইয়ের ডাল। এতে থাকা ফাইবার হজমশক্তি বাড়ায় ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। কালাইয়ের ডাল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেশি ভোগালে কালাইয়ের ডাল খেলে উপকার পেতে পারেন। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি হলেও এ ডাল খাওয়া যেতে পারে।
যেসব লক্ষণ দেখলে নারীরা থাইরয়েড নিয়ে সতর্ক হবেন
ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১, হাসপাতালে ভর্তি ৩৮২
১ অক্টোবর থেকে হার্টের রিংয়ের নতুন দাম কার্যকর

