ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

জেনেভা ক্যাম্পে শিশু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ২৬

আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০২৫, ০২:৩৮ পিএম

ঢাকার মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে শিশু শাহ আলম হত্যা মামলায় ২৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানার আদালত এ আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন জানান, এদিন গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাজহারুল ইসলাম। তদন্ত কর্মকর্তা তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন, নাসির হোসেন নাশু, ফাইয়াজ হোসেন, মো. রাসেল, মো. হিরা, মো. আল আমিন, মো. জামিল, মো. ফয়সাল হোসেন, মো. গোলাম রসুল, মো. মোস্তাক, মো. সাইদ হোসেন, মো. শুভ, মো. রাকিব, মো. সেলিম, মো. শাওন, মো. মাসুদ রানা, মো. আকাশ, মো. ইসতিয়াক, মো. রাশেদ, মো. রাসেল, মো. রাজ, মো. রাজিব, মো. বশির, মো. পাপ্পু, শাহ আলম, মো. আজাদ হোসেন ও ফয়সাল হোসেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে জেনেভা ক্যাম্প এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মাদক ব্যবসা নিয়ে সংঘাতে লিপ্ত। ক্যাম্প এলাকায় একাধিকবার বোমাবাজি ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ আগস্ট সকাল থেকে মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলে।

বিকেল পৌনে ৩টার দিকে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র, ককটেল ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বড় ধরনের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ভুক্তভোগী শিশু শাহ আলম বছিলা এলাকা থেকে তার নানির সঙ্গে দেখা করতে জেনেভা ক্যাম্পে গিয়েছিল। ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

১৩ আগস্ট নিহতের বাবা মো. রুবেল বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ঘটনার প্রকৃত কারণ ও জড়িতদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। অতিরিক্ত আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

শিশু শাহ আলমের হত্যাকাণ্ড রাজধানীর বুকে সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের দৌরাত্ম্যকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে। এলাকাবাসী এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

DR
আরও পড়ুন