শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী যারা সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত এবং নির্দিষ্ট বিষয়ের উপযুক্ত, তাদের ডিজিটাল যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়েছে। এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির আওতায় ৪১ হাজার শিক্ষক নিয়োগে চূড়ান্ত সুপারিশ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. সি আর আবরার বলেন, আমরা চাই, শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার এই ডিজিটাল রূপান্তর ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য হোক। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠানো ১ লাখ ৮২২টি শূন্যপদের চাহিদা যাচাই-বাছাই শেষে ৪১ হাজার প্রভাষক ও শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় ই-রেজিস্ট্রেশন থেকে শুরু করে চাহিদা সংগ্রহ, ও মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সুপারিশ সব কিছুই ডিজিটাল ও স্বচ্ছ পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়েছে।
নিবন্ধন পরীক্ষা ও ফলাফল পরিসংখ্যান, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন, ১৮,৬৫,৭১৯ জন, এর মধ্যে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ১৩,৪০,৮৩৩ জন, প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ ৪,৭৯,৯৮১ জন, লিখিত পরীক্ষায় অংশ ৩,৪৮,৬৮০ জন, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৮৩,৮৬৫ জন, মৌখিক পরীক্ষায় অংশ ৮১,২০৯ জন, চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ৬০,৬৩৪ জন, চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রায় ৪১ হাজার প্রার্থী।
উদ্বোধনী বক্তব্যে ড. সি আর আবরার বলেন, আমরা শিক্ষক নিবন্ধনের মাধ্যমে একটি মেধাবী, যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষক তালিকা তৈরি করেছি। তারা আগামী প্রজন্মকে দক্ষভাবে গড়ে তুলবে। শিক্ষকতা শুধু পেশা নয়, এটি একটি জাতি গঠনের দায়িত্ব।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) পরিচালিত গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের এই প্রক্রিয়া বর্তমানে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিক্ষক নিয়োগ উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেধাভিত্তিক ও ডিজিটাল নিয়োগ প্রক্রিয়া শিক্ষার মানোন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে।
৪১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের ফল প্রকাশ
প্রথম নারী শিক্ষা সচিব হলেন রেহানা পারভীন