থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা রাজকীয় অবমাননার মামলায় আদালত থেকে খালাস পেয়েছেন। শুক্রবার (২২ আগস্ট) ব্যাংককের একটি আদালত জানায়, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
৭৬ বছর বয়সী এই প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে লেস-ম্যাজেস্ট আইন ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছিল, যার জন্য সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারতো। তবে আদালত রায়ে জানায়, থাই রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে কথিত মন্তব্য আইন লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে না।
থাকসিনের আইনজীবী উইনিয়াত চ্যাটমন্ট্রি বলেন, আদালত স্পষ্ট করে বলেছে অভিযোগ প্রমাণে যথেষ্ট তথ্য নেই। ফলে মামলাটি খারিজ করে দেওয়া হয়।
এই মামলা এক দশকের পুরোনো এক মন্তব্যকে ঘিরে গড়ে ওঠে। দক্ষিণ কোরিয়ার এক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে থাকসিন তার বোন ইংলাক সিনাওয়াত্রার ২০১৪ সালের সামরিক অভ্যুত্থানে উৎখাত প্রসঙ্গে কথা বলেছিলেন। যদিও থাইল্যান্ডে এতটাই কঠোর লেস-ম্যাজেস্ট আইন বিদ্যমান যে, সংশ্লিষ্ট মন্তব্যের বিস্তারিত প্রকাশ করাও ফৌজদারি অপরাধ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই রায় থাই রাজনীতিতে দীর্ঘ সময় ধরে সক্রিয় থাকা সিনাওয়াত্রা পরিবারের জন্য বড় স্বস্তি বয়ে এনেছে। যদিও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা পুরোপুরি কাটেনি, কারণ থাকসিনের মেয়ে ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা আগামী সপ্তাহে আদালতের রায়ের মুখোমুখি হচ্ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে রায় নেতিবাচক হলে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোর ঝুঁকি দেখা দিতে পারে।
সূত্র: বিবিসি
গাজা সিটি ও আশপাশের এলাকায় দুর্ভিক্ষ চলছে: জাতিসংঘ
যুদ্ধ সমাপ্তিতে পুতিনের যত দাবি