বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের আওতাধীন স্টাফ বাস সার্ভিস কর্মসূচি ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ১৩৭ জন কর্মচারীর চাকরি রাজস্বখাতে স্থায়ীকরণের বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।
সোমবার (২৫ আগস্ট) বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অষ্টম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজআদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খন্দকার বাহার রুমি এবং রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুজ কাজল। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া।
২০১৬ সালে অনিয়মিতভাবে কর্মরত ১৩৭ জন কর্মচারী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। হাইকোর্ট ১৫ জুন, ২০১৬ তারিখে দেওয়া রায়ে বলেন, এলজিইডি প্রকল্পভুক্ত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের ধারা অনুসরণ করে এই কর্মচারীদেরও রাজস্বখাতে স্থানান্তর করতে হবে। আদালত ১৭ বিএলসি (এড) ৯১ অনুসারে ১১ দফা গাইডলাইনের আলোকে এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন।
৫৪৭ কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশএরপর বোর্ডের ১৫তম সভায় কর্মচারীদের পদগুলো সাংগঠনিক কাঠামোয় অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে রিটকারীরা আদালত অবমাননার অভিযোগ আনেন। পরবর্তীতে সরকার আপিল করলেও আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেয়, ফলে হাইকোর্টের আদেশ চূড়ান্তভাবে বহাল থাকে।
রিটকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মিয়া বলেন, এই রায় দীর্ঘদিন ধরে চাকরি অনিশ্চয়তায় থাকা কর্মচারীদের জন্য ন্যায়বিচারের প্রতীক। এখন তাদের স্থায়ীকরণে আর কোনো বাধা নেই। শুধু সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন।
