বিশ্ববাজারে নিত্যপণ্যের দাম অর্ধেকে নেমে আসলেও বাংলাদেশে তেমন কোনো স্বস্তি নেই। বিশ্বে দামের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার কথা থাকলেও দেশে চাল, তেল, চিনি কিংবা জ্বালানি- প্রায় সব কিছুর দামই এখনো ঊর্ধ্বমুখী।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, থাইল্যান্ডের বাজারে ৫ শতাংশ ভাঙা চালের দাম এক বছরে কমেছে প্রায় ৩৮ শতাংশ। ২০২৩ সালে মেট্রিক টনপ্রতি চালের দাম ছিল ৬১৬ মার্কিন ডলার, বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮১ ডলারে। অথচ বাংলাদেশে চালের দাম বেড়েই চলেছে।
মে মাসের শেষে ঢাকার বাজারে মোটা চাল কেজিপ্রতি ৫২-৫৫ টাকা থাকলেও এখন তা ৫৫-৬০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। গত এক বছরে সরকার ১৪ লাখ টন চাল আমদানি করলেও বাজারে তার প্রভাব পড়েনি।
২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বিশ্ববাজারে নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়লেও বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে নীতিগত ব্যর্থতা ও বাজার নিয়ন্ত্রণের দুর্বলতার কারণে। কিন্তু অনেক দেশে দাম দ্রুত কমে আসে।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সফল হলেও পিছিয়ে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া হওয়ার পরও সেখানে পণ্যের দাম আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে কম। পাকিস্তানে এক বছরের ব্যবধানে ৩৫ শতাংশ থেকে নেমে ৪ শতাংশের কাছাকাছি। ভারতে মূল্যস্ফীতি নেমেছে ১ দশমিক ৫৫ শতাংশে, নেপালে ২ দশমিক ৭২ শতাংশ। কিন্তু বাংলাদেশে জুলাই মাসে মুদ্রাস্ফীতি ছিল সাড়ে ৮ শতাংশের বেশি।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের সামনে দুটি প্রধান পথ খোলা- সরকারি চ্যানেলে কম দামে খাদ্য সরবরাহ বৃদ্ধি এবং বাজার তদারকি জোরদার করা।
মূল্যস্ফীতি কমলেও লাগামহীন চালের বাজার
ডিএসইর বাজার মূলধন হারাল আরও ৩৫০২ কোটি টাকা