ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৩, আহত ২০

আপডেট : ২৮ আগস্ট ২০২৫, ০১:৫৮ এএম

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর মিনিয়াপলিসের দক্ষিণে অ্যানানসিয়েশন ক্যাথলিক চার্চের একটি স্কুলে গুলি চালায় এক বন্দুকধারী। এ ঘটনায় বন্দুকধারীসহ তিনজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। স্থানীয় সময় বুধবার (২৭ আগস্ট) এ হামলা হয়। পুলিশ জানায়, ওই বন্দুকধারী কালো পোশাকে ছিলেন। তার হাতে ছিল একটি রাইফেল।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, চার লাখ ৩০ হাজার বাসিন্দার শহরটিতে গুলিবর্ষণের পর দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। বিচার বিভাগের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বন্দুকধারীসহ তিনজন নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছেন। অ্যানানসিয়েশন চার্চে এ ঘটনা ঘটে। একই স্থানে প্রি-স্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও রয়েছে।

সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, গ্রীষ্মকালীন বন্ধ শেষে গত সোমবার স্কুলটি খুলেছিল। এর দুদিন পর হামলার ঘটনা ঘটল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, বন্দুকধারী মারা গেছেন বলে নিশ্চিত হয়েছেন তারা। হামলার পর তিনি নিজেই আত্মহত্যা করেন।

পুলিশ প্রধান ব্রায়ান ও’হারা সাংবাদিকদের জানান, বন্দুকধারী জানালা দিয়ে গুলি চালিয়েছে। সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের ঠিক আগে পুলিশ খবর পায় যে স্কুলে গুলি চালানো হয়েছে। প্রার্থনা চলাকালে বন্দুকধারী ভবনের বাইরে আসে। এরপর গির্জার জানালা দিয়ে ভেতরে বসে থাকা শিশুদের দিকে রাইফেল দিয়ে গুলি চালাতে থাকে। সে শিশু ও উপাসকদের লক্ষ্য করে হামলা করে। বন্দুকধারীর কাছে একটি রাইফেল, একটি শটগান এবং একটি পিস্তল ছিল। এটি ছিল নিরীহ শিশু ও উপাসকদের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত সহিংসতা। শিশুতে ভরা গির্জায় গুলি চালানো এক ধরনের নিষ্ঠুরতা ও কাপুরুষতা, যা একেবারেই বোধগম্য নয়।

মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নয়েম বলেছেন, তার মন্ত্রণালয় ‘ভয়াবহ গুলিবর্ষণের’ ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করছে এবং অন্যান্য সংস্থার সাথে যোগাযোগ রাখছে। আরও তথ্য পাওয়া মাত্রই তা শেয়ার করার কথাও জানিয়েছেন তিনি। আমি এই জঘন্য হামলার শিকার এবং তাদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা করছি।

স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেল জানিয়েছে, অ্যানোনিকেশন ক্যাথলিক স্কুলটিতে যখন বন্দুকধারী হামলা হয় তখন শিশুরা সকালের পিটির জন্য জড়ো হয়েছিল। বেসরকারি এ স্কুলটির ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী প্রি-স্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ৩৯৫ শিক্ষার্থী এখানে পড়াশোনা করে। ১৯২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এ ধর্মীয় স্কুলটিতে ধর্মীয়সহ অন্যান্য সাধারণ শিক্ষা দেওয়া হতো।

হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম জানান, ডিএইচএস ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করছে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।

 

HN
আরও পড়ুন