ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

হেরিটেজ ট্যুরিজম

প্রাচীন নিদর্শন দেখার গন্তব্য হতে পারে পঞ্চগড়

আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৩২ পিএম

পঞ্চগড়ে কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে শত বছরের প্রাচীন বেশ কিছু স্থাপনা। নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার, বাগেরহাটের মসজিদ শহর এবং সুন্দরবনের মতো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে এই স্থাপনাগুলো।

প্রাচীন ইতিহাস-ঐতিহ্য ঘুরে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে হিমালয়কন্যা খ্যাত পঞ্চগড় একটি গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুসনে জাহান। পঞ্চগড়ের ভিতরগড়ে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ প্রত্নতত্ত্ব দূর্গনগরী আবিস্কার করেছেন তিনি।

উত্তরের সীমান্ত জেলার হেরিটেজ (ঐতিহ্য পর্যটন) বিষয়ে এই অধ্যাপক জানান, পঞ্চগড়ে ২ শতাধিকের বেশি প্রাচীন স্থাপনা রয়েছে, যা আমাদের দেশের অন্য সব প্রত্নতাত্ত্বিক ঐহিত্যের প্রতিনিধিত্ব করে। বাংলাদেশের ইতিহাস বোঝার জন্য এ নিদর্শনগুলো গুরুত্বপূর্ণ। তাই পর্যটকদের কাছে এসব পরিচিত করে তোলা জরুরি।

তিনি বলেন, এ জেলায় অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ ভিতরগড়ের প্রত্নতত্ত্ব দূর্গনগরী। মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর, কান্তজির মন্দিরের সঙ্গে অনেকেই পরিচিত হলেও পঞ্চগড়ের প্রত্ন স্থাপনাগুলোর সঙ্গে এখনো পরিচয় ঘটেনি পর্যটকদের।

পঞ্চগড়ের হেরিটেজ পর্যটন এলাকা ঘুরে দেখার পর বিশ্ব পর্যটক এলিজা বিনতে এলাহীর জানান, বাংলাদেশের পর্যটনে একটি আইকনিস্ট জায়গা পঞ্চগড়। এটি বাংলাদেশের এমন প্রান্তে অবস্থিত, যেখান থেকে বাংলাদেশের শুরু। বাংলাদেশের আইকনিস্ট এলাকা হিসেবে এ অঞ্চলে প্রচুর ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান রয়েছে, যা খুবই কম ব্যবহার হচ্ছে। এই জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো সম্পর্কে পর্যটকদের সামনে স্পষ্ট কোনো তথ্যও নেই। 

পর্যটকদের কাছে এই ঐতিহাসিক নির্দশনগুলো সঠিকভাবে তুলে ধরলে পঞ্চগড় হেরিটেজ ট্যুরিজমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে বলে মনে করেন তিনি।

হিমালয়কন্যা খ্যাত দেশের প্রান্তিক জেলায় অবস্থিত প্রাচীন স্থাপনাগুলো হলো- ভিতরগড় প্রত্নতত্ত্ব দূর্গনগরী, দেড় হাজার বছরে পৃথু রাজার মহারাজা দিঘী, মির্জাপুর শাহী মসজিদ, বারো আউলিয়ার মাজার, গোলকধাম মন্দির, জগবন্ধু ঠাকুর বাড়ি, বদেশ্বরী মহাপীঠ মন্দির, তেঁতুলিয়ার কালী মন্দির, পাথরের জাদুঘর (রক্স মিউজিয়াম)। এসব প্রাচীন স্থাপনাগুলো হেরিটেজ পর্যটনে বাড়িয়ে দিয়েছে গুরুত্ব।

আসুন জেনে নেওয়া যাক এসব প্রাচীন স্থাপনাগুলো সম্পর্কে-

ভিতরগড়ের দূর্গনগরী

প্রাচীন এই দূর্গনগরী ১৫০০ বছরের পুরোনো। এটিকে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ প্রত্নতত্ত্ব দূর্গনগরী হিসেবে মনে করা হয়। দূর্গনগরীটি প্রায় ২৫ বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত, যা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দূর্গনগরী। এতদিন কালের ধুলোয় ঢাকা পড়েছিল দূর্গনগরীটি।

ইতিহাসের গর্ত খুঁড়ে এটি আবিস্কার করেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুসনে জাহান। প্রাচীন এই দূর্গনগরীর মাটির নিচে লুকিয়ে আছে প্রাচীন সভ্যতার অজানা অনেক ইতিহাস, স্থাপত্যের ধ্বংসাবশেষ ও মূল্যবান প্রত্নতত্ত্বের নির্দশন। মাটি খুঁড়লেই বেরিয়ে আসে দুর্লভ সব প্রাচীন স্থাপনা। ৪টি দেয়াল দিয়ে বেষ্টিত এই ভিতরগড় দূর্গনগরী।

এর কিছু অংশ বাংলাদেশের পঞ্চগড়ে, কিছু অংশ ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার অন্তর্গত। দুর্গের ভেতরে অনেকগুলো প্রত্নতত্ত্বস্থল চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে দীঘি, মন্দির, রাজবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা রয়েছে। এখানে বিভিন্ন আসবাবপত্রসহ দেবী মূর্তি পাওয়া গেছে। প্রায় দেড় হাজার বছর আগে এটি নির্মাণ করা হয়েছিল বলে অনুমান করেন প্রত্নতাত্ত্বিক করা।

ভিতরগড় দূর্গনগরীর বাইরের আবেষ্টনীর উত্তরাংশ, উত্তর-পশ্চিমাংশ এবং উত্তর-পূর্বাংশ বর্তমানে ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার অন্তর্গত হওয়ায় ধারণা করা হয়। ৬ষ্ঠ শতকের শেষে কিংবা সপ্তম শতকের শুরুতে ভিতরগড় একটি স্বাধীন রাজ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং প্রাচীন বাণিজ্য সড়ক ও নদীপথের উপর অবস্থিত হওয়ায় ভিতরগড় এলাকার অধিবাসীরা নেপাল, ভূটান, সিকিম, আসাম, কুচবিহার, তিব্বত, চীন, বিহার এবং পশ্চিম ও দক্ষিণ বাংলার সঙ্গে বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগ বজায় রেখেছিল বলে ধারণা করা হয়।

পৃথু রাজার মহারাজা দিঘী এই দূর্গনগরীর অভ্যন্তরেই রয়েছে ১৫০০ বছরের প্রাচীন মহারাজা দীঘি। দীঘিটির ইট বাঁধানো ১০টি ঘাট এবং ঘাটের উভয়পাশে ইট ও মাটি দিয়ে নির্মিত সুউচ্চ পাড় নৈসর্গিক দৃশ্যের এক অসাধারণ নিদর্শন। পৃথু রাজের রাজপ্রাসাদ ছিল। এর পাশেই বর্তমান যে দীঘি, তা মহারাজার দীঘি নামে পরিচিত। পৃথু রাজার খনন করা এই মহারাজার দীঘিটি বিশাল আয়তনের একটি পুকুর বা জলাশয়। অনেক গভীর হওয়ায় এর পানি অনেক স্বচ্ছ।

কথিত আছে, পৃথু রাজা এক দিন কীচক নামক এক নিম্নশ্রেণীর লোকের মাধ্যমে আক্রমণের শিকার হন। তখন তিনি ধর্ম নাশের ভয়ে এই দীঘিতে আত্মহনন করেছিলেন। প্রতিবছর নববর্ষের সময় এই দীঘির পাড়ে মেলা বসে। এই মেলায় মাঝে মাঝে ভারত থেকেও দর্শনার্থী আসেন। 

মির্জাপুর শাহী মসজিদ

প্রাচীন স্থাপত্যের আরেকটি নিদর্শন হলো ঐতিহাসিক শাহী মসজিদ। ১৬৫৬ সালে নির্মিত এ ঐতিহাসিক মসজিদটি অবস্থিত পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নে।

জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। প্রায় সাড়ে ৩০০ বছরের পুরোনো আয়তকার মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৪০ ফুট ও প্রস্থ ২৪ ফুট। মসজিদের ছাদে পাশাপাশি ৩টি গম্বুজ এবং চারকোণে ৪টি চিকন মিনার আছে। ভেতরে প্রবেশের জন্য মসজিদের সামনের দেয়ালে আছে ৩টি দরজা। প্রত্যেক দেয়াল ও দরজায় বিভিন্ন কারুকার্যের নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদের গায়ে টেরাকোটা ফুল ও লতাপাতার নকশা খোদায় করা আছে, যার একটির সাথে অন্যটির কোনো সাদৃশ্য নেই। নির্মাণ শৈলীর নিপুণতা, দৃষ্টিনন্দন কারুকার্য ও ৩টি গম্বুজ এই মসজিদের মূল আকর্ষণ।

১৬৭৯ খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত হাইকোর্ট প্রাঙ্গণের মসজিদ ও মির্জাপুর শাহী মসজিদের নির্মাণ শৈলীতে যথেষ্ট সাদৃশ্য রয়েছে। মসজিদটির মধ্যবর্তী দরজার উপরে একটি ফলক রয়েছে, যেখানে ফার্সি ভাষায় রয়েছে নির্মাণ সম্পর্কিত তথ্য।

প্রত্নতাত্ত্বিকদের ধারণা, মোঘল সম্রাট শাহ আলমের রাজত্বকালে মসজিদটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। বর্তমানে মির্জাপুর শাহী মসজিদ বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। এছাড়াও প্রাচীন নিদর্শন ও প্রত্নতত্ত্ব সম্পদের মধ্যে পাহাড়ার ডাঙ্গায় ‘ছাপড়াঝাড় মসজিদ’, সর্দারপাড়ায় ‘৩ গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ’ ও মির্জাপুর গ্রামে ‘ইমাম বাড়া’ উল্লেখযোগ্য।

বারো আউলিয়া মাজার

আরেক প্রাচীন স্থান সুফী সাধকের বারো আউলিয়া মাজার পঞ্চগড়ের আটোয়ারিতেই। বার আউলিয়াদের আগমনের ইতিহাস বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেলেও ওলীদের ইতিহাস রহস্যাবৃত্ত।

চট্টগ্রাম শহর থেকে ১২ জন সুফি সাধক এখানে এসে বসবাসের পর থেকেই জায়গাটি বারো আউলিয়া নামে প্রসিদ্ধ হয়ে ওঠে। সুলতানি আমলে ১২ জন ওলী খাজাবাবার নির্দেশে চট্রগ্রামসহ পূর্ব বঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে স্থান গড়ে তুলে ইসলাম প্রচার শুরু করেন। পরে স্থল পথে রওয়ানা হয়ে ইসলাম প্রচার করতে করতে উত্তরবঙ্গের শেষ প্রান্তে এসে পৌঁছান এবং মির্জাপুর ইউনিয়নের বারো আউলিয়ায় আস্তানা গড়ে তুলে ইসলাম প্রচার শুরু করেন।

আটোয়ারির মাটিকে পূর্ণ ভূমিতে পরিণত করার পর সময়ের বিবর্তনে ওলীদের এখানেই সমাহিত করা হয়। গড়ে উঠে বারো আউলিয়ার মাজার শরীফ। প্রতি বছর বৈশাখ মাসের শেষ বৃহস্পতিবার বারো আউলিয়ার মাজার প্রাঙ্গণে ওরসের অয়োজন করা হয়। ভক্তরা মানতের টাকা-পয়সা, ধান-চাল, মুরগি-কবুতর ও গরু-ছাগল দান করেন।

গোলকধাম মন্দির

প্রাচীন মন্দির গোলকধাম। দেবীগঞ্জ উপজেলায় শালডাংগা ইউনিয়নে এ মন্দিরটির অবস্থান। সুন্দর কারুকার্য খচিত মন্দিরটির গায়ে লেখা শিলালিপি থেকে জানা যায়, এটি ১৮৪৬ সালে নির্মাণ করা হয়। মন্দিরটি মূলত গোলক কৃষ্ণ গোস্বামীর স্মৃতি রক্ষার্থে নির্মাণ করা হয়েছিল। মন্দিরের নামেও তার প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়।

মন্দিরটি ৬ কোণ বিশিষ্ট একটি স্থাপনা। এটি গ্রীক স্থাপত্যশৈলীর আদলে নির্মিত, যা এখন বিলুপ্ত প্রায়। অষ্টাদশ শতকের এ মন্দিরটি বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।

জগবন্ধু ঠাকুর বাড়ি

দেবীগঞ্জের আরেকটি প্রাচীন স্থাপনা জগবন্ধু ঠাকুর বাড়ি। শত বছরের বেশি সময় ধরে কালের স্বাক্ষী হয়ে আছে এটি। ১৯১৪ সালে ভারতবর্ষে তৎকালীন কুচবিহারের মহারাজা নিপেদ্র নারায়ণ জগবন্ধু ঠাকুর বাড়িটি প্রতিষ্ঠা করেন। বাড়িটি শত বছরের পুরানো হওয়ায় তা দেখতে প্রচুর মানুষের ভিড় জমে। স্থানীয়দের মতে, এখানে অনেক পুরানো মন্দির আছে, দুর্গা পূজায় মেলা বসে।

বদেশ্বরী মহাপীঠ মন্দির

বদেশ্বরী মন্দিরটি বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত। হিন্দু পুরাণের স্কন্দ অনুযায়ী, বিষ্ণুর সুদর্শন চক্রের আঘাতে দেবী দুর্গার দেহ ৫১টি খণ্ডে বিভক্ত হয়েছিল। এর মধ্যে দুইটি খণ্ড পড়েছিল বাংলাদেশে। একটি পড়েছিল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে, অন্যটি পড়েছিল পঞ্চগড় জেলার বদেশ্বরীতে। সেখানেই ৪০০/৫০০ বছর পূর্বে একটি মন্দির নির্মাণ করা হয়। প্রাচীন এ মন্দিরটিই বদেশ্বরী মহাপীঠ মন্দির। বদেশ্বরী মহাপীঠ মন্দিরটি এখনও প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যের নিদর্শন বহন করছে।

তেঁতুলিয়ার কালী মন্দির

প্রাচীন স্থাপত্য শৈলীর অনন্য নির্দশন তেঁতুলিয়ার কালী মন্দির। বিভিন্ন মতান্তরে মন্দিরটি শত বছর পূর্বে নির্মাণ করা হয়। এ অঞ্চলে তখন প্রচুর হিন্দু ধর্মাম্বলীদের বসবাস ছিল। ১০ শতক জায়গা জুরে মন্দিরের কাঠামো নির্মাণ করা হয় বলে জানা যায়। সে সময় এ ধর্মের প্রতিটি মন্দিরে অনুষ্ঠিত হতো পূজা। বর্তমানে মন্দিরটি অযত্নে-অবহেলায় ধ্বংসাবাশেষ নির্দশন হয়ে কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

পাথরের জাদুঘর (রকস মিউজিয়াম)

দেশের একমাত্র পাথরের জাদুঘর পঞ্চগড়ে। পাথরের জাদুঘরটি ‘রকস মিউজিয়াম’ নামেই পরিচিত। সরকারি মহিলা কলেজে ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এ পাথরের জাদুঘরে রয়েছে নতুন এবং পুরনো পাথরের রকমারি সমাহার। প্রত্যেকটি পাথরের পাশে লেখা রয়েছে কোথা থেকে আনা হয়েছে এবং কারা সংগ্রহ করেছেন এ মূল্যবান প্রত্নতত্ত্ব সম্পদ।

এখানে রয়েছে আগ্নেয় শিলা, পাললিক শিলা, নুড়ি পাথর, সিলিকা নুড়ি ও সিলিকা বালি, হলুদ ও গাঢ় হলুদ বালি, কাঁচবালি, খনিজবালি, লাইমস্টোন, পলি ও কুমোর মাটি এবং কঠিন শিলাসহ আরও অনেক প্রত্ন সম্পদ। নানান আকৃতির পাথরগুলো হাজার বছরের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এটিই এশিয়ার একমাত্র পাথরের জাদুঘর।

১৯৯৭ সালে রকস মিউজিয়ামটি প্রতিষ্ঠা করেন এই কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ ড. নাজমুল হক। এসব প্রাচীন স্থাপনা ছাড়াও অনেক নিদর্শন রয়েছে পঞ্চগড়ে।

পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিশিষ্টজনদের মতে, বিলুপ্ত প্রায় প্রাচীন স্থাপনাগুলো সংস্কার, পরিচ্ছন্ন করে পর্যটন শিল্প উন্নয়নে উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। এর মাধ্যমে হেরিটেজ পর্যটন শিল্প হিসেবে এর বিকাশ ঘটাতে পারলে সরকার রাজস্ব আয় করতে পারবে। সেই সঙ্গে অর্থনীতির সচল শক্তিতে কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

প্রাচীন এসব স্থাপনা ছাড়াও উত্তরের এ জেলায় রয়েছে নানান প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে করতোয়া নদীর তীরে নির্মিত হয়েছে নান্দনিক ইকোপার্ক, ব্যক্তিগতভাবে তেঁতুলিয়ার কালান্দিগঞ্জে গড়ে উঠেছে চা বাগানে রিসোর্ট।

এছাড়াও তেঁতুলিয়ার পিকনিক কর্নার, চতুর্দেশী বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর, জিরো পয়েন্ট ও ইমিগ্রেশন, সবুজ চা বাগান, পাথর সমৃদ্ধ মহানন্দা নদীসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটনে সমৃদ্ধ করছে এ অঞ্চল। 

NJ
আরও পড়ুন