গাজীপুরের শ্রীপুরে র্যাবের গাড়ি আটক করে সড়ক অবরোধ, হামলা, ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে র্যাব।
এর মধ্যে একটি মামলা অস্ত্র আইনে, অপরটি সরকারি কাজে বাধা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে। এসব মামলায় দুই নারীসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র্যাব সদর দপ্তরের ওয়ারেন্ট অফিসার জাফর ইকবাল বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে র্যাব সদস্যরা গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় অবস্থান করছিলেন। তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন শ্রীপুর উপজেলার বরমী (বরামা চৌরাস্তা) এলাকায় অবৈধ মাদকদ্রব্যের বড় চালান ক্রয়-বিক্রয় হবে।
বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বরমী মধ্যপাড়া গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে মোশারফ হোসেনের (৩৬) অটো গ্যারেজে অভিযান চালায় র্যাব।
এ সময় মোশারফ হোসেন পালানোর চেষ্টা করলে তাকে একটি পিস্তলসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার প্ররোচনা ও উসকানিতে অন্যান্য আসামিরা দা, লাঠি, বল্লম, রামদা, লোহার রড ও বাঁশের লাঠি নিয়ে র্যাবের গাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে তারা র্যাব সদস্যদের ওপর হামলা চালায়।
মুরাদনগরে মোটরসাইকেল আরোহীকে মারধর, গ্রেপ্তার ২এ ঘটনায় র্যাব সদর দপ্তরের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নূর আলম (৩৩), উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুব (৩১), সদস্য সোহাগ হোসেন (২৮), গোলাম মোরশেদ (২৭) ও সোবহান আলী (৪০) আহত হন। তারা শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাজুল ইসলাম বলেন, এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক ৮ জনসহ বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এ ঘটনায় ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বালিদিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে সাফুয়াত হোসেন (২৩), হালুয়াঘাট উপজেলার নাগলা বাজার ইউনিয়নের আব্দুল জলিলের ছেলে মাহমুদুল হাসান (২৫), গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আরাফাত হোসেন আকিব (২৩), শ্রীপুর উপজেলার বরমী মধ্যপাড়া গ্রামের আলালের ছেলে সাব্বির হোসেন (২০), মৃত আজিজুল হকের ছেলে সফিজুল হক (২৮), মৃত আনছার রহমানের ছেলে মাসুদ (৪৮), আহম্মদ আলীর ছেলে মোফাজ্জল (২৭), রফিকের ছেলে মারুফ (১৮), শহিদুল্লাহর ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক (২৫), মৃত আরসক আলীর ছেলে সাহেব আলী (৫৫), সাগরের স্ত্রী আঞ্জুমান (২১), মোশারফ হোসেনের স্ত্রী স্মৃতি (২৮), কাওরাইদ গ্রামের আব্দুল গনি মিয়ার ছেলে শাহজাহান (৪২) ও সিলেটের দোয়ারাবাজার উপজেলার গাজগড্য গ্রামের রূপ মিয়ার ছেলে সাগরকে (২৩) গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টায় গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল বারিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
