মানবজীবনের কল্যাণ ও সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইসলামের শিক্ষা এক অনন্য দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে। নবী করিম (সা.)-এর হাদিসে এমন কিছু বিষয় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা শুধু পরিবার নয়, সমাজ ও অর্থনীতির ভারসাম্য রক্ষায়ও অপরিহার্য।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- আল্লাহ তাআলা হারাম করেছেন মা-বাবার অবাধ্যতা, অন্যের প্রাপ্য আটকে রাখা, অযথা দাবি আদায় এবং কন্যা সন্তানকে জীবিত কবর দেওয়া। পাশাপাশি তিনি অপছন্দ করেছেন অর্থহীন গল্পগুজব, অতিরিক্ত প্রশ্ন ও সম্পদ অপচয়কে। সহিহ বুখারির (৫৯৭৫ ) হাদিস
এ সংক্ষিপ্ত হাদিসে ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে পারিবারিক বন্ধন, অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার থেকে সামাজিক স্থিতিশীলতা- সব কিছুর জন্যই সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
হাদিসের শিক্ষা-
- পিতা-মাতার অধিকার রক্ষা করা আল্লাহর আনুগত্যের পরেই অন্যতম প্রধান দায়িত্ব।
- অন্যের হক বা প্রাপ্য আটকে রাখা সমাজে অবিচার ও বৈষম্যের জন্ম দেয়।
- ঘুষ, সুদ ও প্রতারণার মতো অন্যায়ের মাধ্যমে সম্পদ অর্জন ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
- কন্যাসন্তানকে জীবন্ত কবর দেওয়ার মতো বর্বর রীতি ইসলাম চিরতরে বন্ধ করে দিয়েছে; বরং তাদের সম্মান, শিক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করেছে।
- অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা, অকারণ প্রশ্ন ও সম্পদ অপচয়কে ইসলাম নিন্দা করেছে, কারণ এগুলো মানুষের সময়, জ্ঞান ও নেয়ামতের অপচয় ঘটায়।
এই হাদিস শুধু তৎকালীন আরব সমাজের জন্য সীমাবদ্ধ নয়; বরং বিশ্ব মানবতার জন্য এক চিরন্তন নির্দেশিকা। পিতা-মাতার সম্মান, নারীর অধিকার, অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার এবং ব্যক্তিজীবনে সংযম- এসবই শান্তি ও সমৃদ্ধির সমাজ গঠনের মূল ভিত্তি।
আজকের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময়সূচি
বিজয় ও সাফল্যে সিজদার মাধ্যমে শুকরিয়া আদায়, যা বলেছেন প্রিয়নবী