দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনের প্রায় ৪৫ ঘণ্টা পর শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে সিনেট ভবনে ফলাফল প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
এবারের নির্বাচনে ভিপি (সভাপতি) পদে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলনের প্রার্থী আব্দুর রশিদ জিতু নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে জিএস (সাধারণ সম্পাদক) ও এজিএস (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক) দুই পদেই জয় পেয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সমর্থিত 'সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট'। জিএস নির্বাচিত হয়েছেন মো. মাজহারুল ইসলাম, এবং যুগ্ম সম্পাদক (এজিএস) পদে নির্বাচিত হয়েছেন ফেরদৌস আল হাসান ও আয়েশা সিদ্দীকা মেঘলা।
এছাড়া বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদে নির্বাচিত হয়েছেন-
- শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক: আবু ওবায়দা ওসামা (শিবির প্যানেল)
- পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ সম্পাদক: মো. শাফায়েত মীর (শিবির প্যানেল)
- সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক: মো. জাহিদুল ইসলাম (শিবির প্যানেল)
- সাংস্কৃতিক সম্পাদক: মহিবুল্লাহ শেখ জিসান (স্বতন্ত্র) / আলী জাকি শাহরিয়ার (শিবির প্যানেল) (ফলাফল স্পষ্ট নয়)
- সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক: মো. রায়হান উদ্দীন (শিবির প্যানেল)
- নাট্য সম্পাদক: মো. রুহুল ইসলাম (শিবির প্যানেল)
- ক্রীড়া সম্পাদক: মাহমুদুল হাসান কিরন (স্বতন্ত্র)
- সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (নারী): ফারহানা আক্তার লুবনা (শিবির প্যানেল)
- সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (পুরুষ): মো. মাহাদী হাসান (শিবির প্যানেল)
- তথ্য প্রযুক্তি ও গ্রন্থাগার সম্পাদক: মো. রাশেদুল ইসলাম লিখন (শিবির প্যানেল)
- সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক: আহসাব লাবিব (গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ - বাগছাস)
- সহ-সমাজসেবা সম্পাদক (নারী): নিগার সুলতানা (শিবির প্যানেল)
- সহ-সমাজসেবা সম্পাদক (পুরুষ): মো. তৌহিদ হাসান (শিবির প্যানেল)
- স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা সম্পাদক: হুসনী মোবারক (শিবির প্যানেল)
- পরিবহণ ও যোগাযোগ সম্পাদক: মো. তানভীর রহমান (শিবির প্যানেল)
কার্যকরী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন-
- মো. তরিকুল ইসলাম
- মো. আবু তালহা
- মো. মহসিন
- নাবিলা বিনতে হারুণ
- ফাবলিহা জাহান
- নুসরাত জাহান ইমা
সকলেই শিবির প্যানেলের প্রার্থী
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ব্যালট বাক্স নেয়া হয় সিনেট হলে, যেখানে প্রায় ৪৫ ঘণ্টা ধরে চলে ভোট গণনা। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১১ হাজার ৮৯৭ জন, যার মধ্যে প্রায় ৬৭ থেকে ৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ভোট দিয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে মোট আটটি প্যানেল, যার মধ্যে অন্যতম ছিল ইসলামী ছাত্রশিবিরের সমর্থিত 'সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট', বাগছাসের ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’, ছাত্রদলের নিজস্ব প্যানেল, তিনটি বামপন্থী জোট ও দুটি স্বতন্ত্র প্যানেল।
