বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কুসুম্বি ইউনিয়নের দক্ষিণ আমন এলাকার সোনালী পুকুরপাড়ে একটি মেশিন ঘর থেকে প্রাচীন একটি কষ্টিপাথরের মূর্তি উদ্ধার করেছে র্যাব-১২। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫ মণ (১৯০ কেজি) ওজনের এই মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় পুকুরের লীজগ্রহীতা আবুল বাশার রুবেল (৫৫) এবং বিক্রির সহায়তাকারী আল আমিন (৪৮) কে আটক করেছে র্যাব।
আটক রুবেল বগুড়ার শেরুয়া ফরেস্টগেট এলাকার মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে এবং আল আমিন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মৃত আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে।
র্যাব জানায়, প্রায় তিন বছর আগে রুবেল ওই পুকুরটি লিজ নেন। পুকুর সংস্কারের পর গত এক বছর ধরে সেখানে অচেনা লোকজনের আনাগোনা বাড়তে থাকে, যা স্থানীয়দের সন্দেহের জন্ম দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার বিকেলে র্যাব-১২ একটি বিশেষ অভিযান চালায়।
অভিযানে পুকুরপাড়ের একটি পরিত্যক্ত মেশিন ঘরের ভেতরে খড়কুটো দিয়ে ঢেকে রাখা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বিশালাকৃতির কষ্টিপাথরের মূর্তিটি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি প্রাচীন ও মূল্যবান নিদর্শন, যা পাচারের উদ্দেশ্যে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।
পুকুরের পাহারাদার হানিফ বলেন, তিনি অসুস্থ থাকায় মেশিন ঘরের ভেতরে নিয়মিত যেতেন না। শুধুমাত্র মেশিন চালু করতে গিয়েছেন মাঝে মধ্যে। ফলে সেখানে মূর্তি লুকিয়ে রাখার বিষয়টি তার অজানা ছিল।
র্যাব-১২ বগুড়ার সিপিএসসি কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার ফিরোজ আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫ মণ ওজনের একটি কষ্টিপাথরের মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। আটক ২ জনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, উদ্ধার করা মূর্তিটি প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্বের দাবি রাখে এবং এটি প্রাথমিকভাবে একটি প্রাচীন হিন্দু দেবতার মূর্তি বলে ধারণা করা হচ্ছে। মূর্তিটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য হস্তান্তর করা হবে।
পূজো উৎসবে সেনাবাহিনীর আর্থিক সহায়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চয়তা
জাজিরায় পদ্মা নদীর ভাঙন রোধের জরুরি ব্যবস্থার দাবিতে মানববন্ধন 