ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ফেব্রুয়ারির আগেই হতে পারে চবির ভর্তি পরীক্ষা

আপডেট : ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৩৬ পিএম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষা গত বছরের চেয়ে অন্তত দুই মাস এগিয়ে আসতে পারে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের কারণে চলতি বছরের শেষ দিকে অথবা আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করার ব্যাপারে ভাবছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

আগামী বুধবার (১৫ অক্টোবর) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের পরই ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সভায় বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, গত বছর চবির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ১ মার্চ থেকে ২২ মার্চ। কিন্তু ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে এ সময়ে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়াটা কঠিন হতে পারে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছাড়াও ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ। 

কবে নাগাদ ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহইয়া আখতার  বলেন, ‘আসলে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়টি তো আমার একার সিদ্ধান্তে হবে না। আমাদের ভর্তি পরীক্ষার যে কোর কমিটি আছে, তাদের সাথে আলোচনা করে শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যেটা ভালো হবে, আমরা সেটাই করব।’

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই না শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়ুক। আমি চট্টগ্রামের বাইরে আছি, বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েই আমি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। ফেব্রুয়ারিতে যদি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং এরপর ভর্তি পরীক্ষা নিতে যাই, তাহলে তো অনেক দেরি হয়ে যাবে। আমি উপ-উপাচার্যের (অ্যাকাডেমিক) সঙ্গে প্রাথমিক কথা বলে রাখছি, যাতে আমরা দ্রুতই এটি নিয়ে বসতে পারি।’

চবির ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথমবর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার অনলাইনে আবেদন শুরু হয় চলতি বছরের ১ জানুয়ারি, যা শেষ হয় ১৫ জানুয়ারি। গত বছর কোটাধারীদের পাস নম্বর বৃদ্ধির পাশাপাশি পরীক্ষায় কিছু পরিবর্তন আনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আগে কোটাধারীদের পাস নম্বর ৩৫ থাকলেও গত বছর তা বাড়িয়ে ৪০ করা হয়।’

গত বছরের তথ্য অনুযায়ী, আবেদন ফি ছিল ১ হাজার টাকা। প্রতি ইউনিট বা উপ-ইউনিটে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হয়। ভর্তি পরীক্ষায় মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কর্তন করা হয়েছি। ‘সি’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে প্রতিটি ১ নম্বরের প্রশ্নের ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ এবং প্রতিটি ২ নম্বরের প্রশ্নের ভুল উত্তরের জন্য ০.৫০ কর্তন করা হয়।

এছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ ও ‘ডি’ এ চারটি ইউনিট এবং তিনটি উপ-ইউনিট ’বি-১’, ’বি-২’ ও ‘ডি-১’ ছিল। এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটের অধীনে সকল বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদ বা ইন্সটিটিউট, ‘বি’ ইউনিটের অধীনে কলা ও মানবিদ্যা অনুষদভুক্ত ৯টি বিষয় এবং শিক্ষা অনুষদভুক্ত শিক্ষা ছিল।

‘বি-১‘ উপ-ইউনিটের অধীনে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদভুক্ত নাট্যকলা, চারুকলা ও সংগীত বিভাগ, ‘বি-২‘ উপ-ইউনিটের অধীনে আরবি, ইসলামিক স্টাডিজ ও পালি বিভাগ, ‘সি’ ইউনিটের অধীনে ব্যবসায় অনুষদভুক্ত সকল বিভাগ, ‘ডি’ ইউনিটের অধীনে সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত সকল বিষয়; আইন অনুষদভুক্ত আইন; উচ্চ মাধ্যমিক মানবিক শাখার শিক্ষার্থীর জন্য জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা; মনোবিজ্ঞান বিভাগ। এছাড়া ‘ডি-১’ উপ-ইউনিটের অধীনে শিক্ষা অনুষদভুক্ত ফিজিক্যাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগ অন্তর্ভুক্ত ছিল। 

LH/FJ
আরও পড়ুন