বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী না হয়েও অভিযোজন কার্যক্রমে ক্রমবর্ধমান ঋণের বোঝা বহন করছে এটি শুধু অর্থনৈতিক বৈষম্য নয়, বরং জলবায়ু ন্যায্যতার লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরাম এবং চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ যৌথভাবে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাকির হোসেন খান, জাতীয় পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মোস্তফা কামাল মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ, গবেষক তম্ময় সাহা, সাবরিন সুলতানা প্রমুখ।
সভায় উপস্থাপিত ‘চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ’-এর গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রায় ১৪.৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার জলবায়ু অর্থায়ন পেয়েছে। এর মধ্যে ৭.১ বিলিয়ন ডলার এসেছে ঋণ হিসেবে এবং ৭.৭ বিলিয়ন ডলার এসেছে অনুদান হিসেবে। ফলে ঋণ-অনুদান অনুপাত দাঁড়িয়েছে প্রায় ১:১ (০.৯১)।
তবে এই প্রতিশ্রুত অর্থের মাত্র ৩০.৬৪ শতাংশ ছাড় হয়েছে, অর্থাৎ প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ অর্থ এখনও অনিষ্পন্ন। এ পরিস্থিতিকে বক্তারা 'জলবায়ু ঋণের ফাঁদ' হিসেবে আখ্যা দেন।
প্রতিবেদনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ তুলে ধরা হয়, যেমন- বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংকের প্রকল্পে ঋণনির্ভরতা হ্রাস, ক্ষতিপূরণভিত্তিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, বড় নিঃসরণকারী দেশগুলোর দায়বদ্ধতা নিশ্চিত, স্থানীয় পর্যায়ে অভিযোজন তহবিলের প্রবাহ বৃদ্ধি, স্থানীয় সরকার ও কমিউনিটির সম্পৃক্ততা, প্রকল্পভিত্তিক নয়, বরং কমিউনিটি-নির্ভর অভিযোজন কাঠামো গঠন, অনুদানভিত্তিক সহায়তা বৃদ্ধি ও বৈদেশিক ঋণ নির্ভরতা হ্রাস।
বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী উন্নত দেশগুলোই আজ বাংলাদেশের মতো দেশের ওপর ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। এটি নিছক অন্যায় নয়, বরং এটি একটি জলবায়ু ন্যায্যতার প্রশ্ন।
তারা আরও বলেন, বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলো যেন জলবায়ু অর্থায়নে ন্যায্য সুযোগ ও স্বচ্ছতা পায়, তা নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক নেতৃত্বকে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচিতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন
উচ্ছেদ অভিযানের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুরানো রূপে ঢামেক