ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

পরিবারকে পাশে নিয়ে সেদিন কী ঘটেছিল জানালেন রিপন মিয়া

আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:০৭ এএম

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কনটেন্ট ক্রিয়েটর রিপন মিয়া নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে উঠেছে নানা অভিযোগ- যেখানে বলা হয়, তিনি মা-বাবার খোঁজ রাখেন না এবং স্ত্রী-সন্তানদের অস্বীকার করেন।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকায় হাজির হন রিপন মিয়া। তার সঙ্গে ছিলেন মা, স্ত্রী ও দুই সন্তান। ওইদিন ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি কখনো মুচকি হাসেন, আবার কখনো পরিবারের সঙ্গে আবেগে কেঁদে ওঠেন।

রিপন মিয়া জানান, ‘ঘুম থেকে উঠে চা খাইতে গেছিলাম, হঠাৎ কয়েকজন সাংবাদিক এসে ক্যামেরা ধরলো। মজা করতে বলল, আমি ছন্দ বলে মজা করছিলাম। কিন্তু পরে তারা আমার পরিবার নিয়ে নানা উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করতে থাকে। আগে জানায়নি তারা আমার বাড়ি গিয়েছে। পরে টিভিতে দেখি, কথাগুলো কেটে কেটে দেখানো হয়েছে। আমি তো সব বলছিলাম, কিন্তু ভিডিওতে সবটা রাখা হয়নি।’

প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে স্ত্রী-সন্তান অস্বীকারের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেড় বছর আগে ভাইসাবের ভিডিওতে বিয়ে ও বউ নিয়ে কথা বলেছিলাম। কিন্তু ওই সাংবাদিকরা বারবার একই প্রশ্ন করছিলেন, তখন আমি তেড়ামি করে বলছিলাম, ‘আমি বিয়ে করিনি।’ কে জানত, এটা এমন ঝড় তুলবে!

মা-বাবাকে না দেখার অভিযোগের বিষয়ে রিপন দাবি করেন, তিনি নিজেই তাদের জন্য আধাপাকা ঘর বানাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘তিনটা রুম করছি। একটায় আমি বউ-বাচ্চা নিয়ে থাকব, আরেকটায় আব্বু-আম্মু থাকবেন। 

পেশায় কাঠমিস্ত্রি রিপন জানান, ভিডিও বানানো তার নেশা, পেশা নয়। তিনি বলেন, ‘ভাই, আমি কাঠমিস্ত্রি মানুষ। আল্লাহর রহমতে সব পারি। কনটেন্ট না বানালেও সংসার চলবে। প্রয়োজনে ভিডিও আর বানাবো না।’

রিপনের মা ফাতেমা বেগম জানান, প্রতিবেশীদের প্ররোচনায় ভুল বোঝাবুঝি শুরু হয়। তিনি বলেন, অনেকে বলে, তোমার ছেলে লাখ লাখ টাকা কামায়, তোমাকে কী দিয়েছে। আমি ভাবছিলাম সাংবাদিকরা আমাদের সাহায্য করতে এসেছে। বুঝি না, তারা উল্টো বিপদে ফেলবে।

তিনি বলেন, রিপন একা নয়, তার অন্য ছেলেরাও মা-বাবার খোঁজখবর রাখেন। ‘আমরা গরিব মানুষ, হের (রিপন) বাপ কাজ করতে পারে না। তিন ছেলে না দেখলে আমরা চলবো কেমন?’ 

এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে প্রচারিত প্রতিবেদনে রিপনের মায়ের বক্তব্য তুলে ধরা হয়, যেখানে তিনি বলেন, ‘আমরা গরিব, তাই হয়তো ও এখন পরিচয় দিতে চায় না।’ প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে।

LH/FJ
আরও পড়ুন