বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধিসহ তিন দাবিতে শিক্ষকদের আন্দোলনে টানা আটদিন বন্ধ থাকার ফলে বার্ষিক ও নির্বাচনি পরীক্ষার আগে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের এ ক্ষতি পুষিয়ে দিতে আগামী চারটি শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষকরা।
সেই ঘোষণার পর শনিবার (২৫ অক্টোবর) সারাদেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা স্বেচ্ছায় ক্লাসে উপস্থিত হয়ে পাঠদান শুরু করেছেন। এদিন শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও শিক্ষা কার্যক্রমে সহায়তার জন্য সক্রিয় উপস্থিতি দেখিয়েছেন।
কুষ্টিয়ার নিমতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. আসাদ জানান, এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসাইন আজিজী স্যারের ডাকে আমরা কর্মবিরতি পালন করেছিলাম। তবে বর্তমানে তার নির্দেশনায় ছুটির দিনেও অর্থাৎ শনিবারেও বিদ্যালয় কার্যক্রম পরিচালনা করছি। এ মাধ্যমে আমরা চাই শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় কোনো ক্ষতি না ঘটে এবং নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম বজায় থাকে।
পাঁচকিত্তা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক আজ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্লাস নিচ্ছেন, কারণ দীর্ঘ সময়ের বন্ধ ও অচলাবস্থার কারণে শিক্ষার্থীরা যে একাডেমিক ক্ষতির মুখে পড়েছে, তা পূরণ করা এখন আমাদের মূল দায়িত্ব। আমরা চাই না কোনও শিক্ষার্থী পেছনে পড়ে থাকুক বা পরীক্ষায় দুর্বল ফল করুক। তাই কেউ বিশ্রাম না নিয়ে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে পাঠদান করছেন শিক্ষকরা।
মুরাদনগর নুরুন্নাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক বেলাল উদ্দিন আহাম্মদসহ আরও কয়েকজন জানান, এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসাইন আজিজী স্যারের ডাকে আমরা কর্মবিরতি পালন করেছিলাম। তবে বর্তমানে তার নির্দেশনায় ছুটির দিনেও অর্থ্যাৎ শনিবারেও বিদ্যালয় কার্যক্রম পরিচালনা করছি। এতে শিক্ষার্থীরা নিয়মিতভাবে পাঠদান ও পড়াশোনায় অংশগ্রহণ করতে পারছে। আমাদের লক্ষ্য, কোনো শিক্ষার্থী যেন শিক্ষাগত ক্ষতির মুখে না পড়ে এবং শিক্ষা কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে বজায় থাকে।
নোয়াখালীর করমুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. সালেহ উদ্দিন বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক আজ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্লাস নিচ্ছেন, কারণ দীর্ঘ সময়ের বন্ধ ও অচলাবস্থার কারণে শিক্ষার্থীরা যে একাডেমিক ক্ষতির মুখে পড়েছে, তা পূরণ করা এখন আমাদের মূল দায়িত্ব। আমরা চাই না কোনো শিক্ষার্থী পেছনে পড়ে থাকুক বা পরীক্ষায় দুর্বল ফল করুক। তাই কেউ বিশ্রাম না নিয়ে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে পাঠদান করছেন শিক্ষকরা। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও আজ খুব ভালো। তারা আগ্রহ নিয়ে ক্লাস করছে, কারণ সবাই চায় পড়াশোনায় পুনরায় গতি ফিরিয়ে আনতে।
ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণিতে ফের অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ
এইচএসসির পুনঃনিরীক্ষণের ফল ১৬ নভেম্বর