বিহারে ফের মোদি-নীতিশ ম্যাজিকে ধরাশায়ী কংগ্রেসের মহাগাঁটবন্ধন জোট। বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে আবারও বসছেন ৭৪ বছর বয়সী নীতীশ কুমার। শুক্রবার (১২ নভেম্বর) সকাল ৮টায় শুরু হয় ভোটগণনা। আর ভোট শুরু হতেই স্পষ্ট হতে থাকে রাজ্যটির শাসনভার কে গ্রহণ করতে যাচ্ছে।
গণনার প্রথম থেকেই এগিয়ে যায় বিজেপির এনডিএ জোট। ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১২২ হলেও সব কিছু ছাপিয়ে ২০০ আসনের বেশিই পেয়েছে বিজেপি জোট। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২৪৩ আসনের মধ্যে ২০২টি আসন পেয়েছে নীতীশ কুমারের জেডিইউ, এলজেপি ও বিজেপির এনডিএ জোট। অন্যদিকে, আরজেডি, বাম ও কংগ্রেসের মহাগাঁটবন্ধন পেয়েছে মাত্র ৩৫ আসন।
পদ্মঝড়ে পায়ের তলায় জমি-ই খুঁজে পায়নি কংগ্রেস। এমন অবস্থায় বিহারে দলের সাফল্যে রাজ্যটি ছাড়াও দিল্লি, কলকাতায় উল্লাসে মেতেছেন বিজেপি কর্মীরা। দলীয় পতাকা, ঢোল নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছেন দলটির সমর্থকেরা। অন্যদিকে বিহারে জেডিইউ কর্মীরা স্লোগান তুলেছে, ‘১০ বার, নীতীশ কুমার’।
জনতা দল ইউনাইটেড বলছে, ‘টাইগার আভি জ়িন্দা হ্যায়।’ আপাতত চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার অপেক্ষা শুধু তারপরই শুরু হয়ে যাবে সেলিব্রেশন। ওদিকে মহাগাঁটবন্ধন শিবিরে যেন হতাশার প্রতিচ্ছবি।
এর আগে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজ্যের ৩৮টি জেলায় মোট ৪৬টি ভোট গণনা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ১২২ জন রিটার্নিং অফিসার ও অবসার্ভারের তরফ থেকে এই প্রথমবার বিহারের কোনো বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি ওঠেনি।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে বিহারে প্রথম দফায় ভোট দিয়েছেন ৬৫.০৮ শতাংশ ভোটার। দ্বিতীয় দফায় ভোট দিয়েছেন ৬৮.৭৬ শতাংশ। দু’দফা মিলিয়ে বিহারে মোট ভোটদানের হার ৬৬.৯১ শতাংশ, যা গতবারের তুলনায় ৯.৬২ শতাংশ বেশি।
অতীতে কখনই এই হারে বিহারের মানুষ ভোট দেননি। এর আগে রাজ্যটিতে সব থেকে বেশি ভোট পড়েছিল ২০০০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে, ৬২.৫৭ শতাংশ। ১৯৯৮ সালের লোকসভা ভোটে বিহারে ভোট দিয়েছিলেন ৬৪.৬০ শতাংশ ভোটার। ঐতিহ্য বজায় রেখে এবারেও বিহারে পুরুষদের অনুপাতে মহিলারা বেশি সংখ্যায় ভোট দিয়েছেন, প্রায় ৭১.৬ শতাংশ।
বিহারের সবচেয়ে কম বয়সী বিধায়ক মৈথিলি ঠাকুর