উপমহাদেশের সঙ্গীতজগতের কিংবদন্তি শিল্পী রুনা লায়লার ৭৩তম জন্মদিন। ১৯৫২ সালের এই দিনে সিলেটে জন্ম নেওয়া এই অসাধারণ শিল্পী গত ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে তার কণ্ঠের মাধুর্যে দেশ-বিদেশের কোটি মানুষকে মুগ্ধ করে যাচ্ছেন।
মাত্র আড়াই বছর বয়সে গান শেখা শুরু করেন রুনা লায়লা। ছয় বছর বয়সে প্রথম মঞ্চে গান এবং ১৯৫৪ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে প্রথম কণ্ঠ এভাবেই শুরু হয় তার সঙ্গীতের বর্ণাঢ্য পথচলা। ছোটবেলা থেকেই তার সুরভরা কণ্ঠ নজর কাড়ে শ্রোতা ও সঙ্গীতজ্ঞদের।
রুনা লায়লা শুধু বাংলাদেশেরই নয়, উপমহাদেশের অন্যতম সফল প্লেব্যাক শিল্পী। বাংলা, হিন্দি, উর্দু, পাঞ্জাবি, সিন্ধি, গুজরাটি, ইংরেজি, স্প্যানিশসহ ১৮টির বেশি ভাষায় তিনি গেয়েছেন ১০ হাজারেরও বেশি গান। বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত ও পাকিস্তানের চলচ্চিত্র শিল্পেও তার কণ্ঠ সমান জনপ্রিয়। বলিউডের সেরা প্লেব্যাক শিল্পীদের তালিকায়ও তার নাম শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারিত হয়।
‘সাধের লাউ’, ‘দাও আমাকে দাও’, ‘পান খাইয়া ঠোঁট লাল করিলাম’ এমন অসংখ্য কালজয়ী গান রুনা লায়লাকে নিয়ে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়। তার গানে যেমন আছে প্রাণের টান, তেমনি রয়েছে সুরের বিশুদ্ধতা ও আবেগের গভীরতা।

সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি একাধিকবার পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। পাকিস্তানের বিখ্যাত নিগার অ্যাওয়ার্ডসহ আরও বহু আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি। সঙ্গীতে তার অবদানকে সময়ের গণ্ডি ছাড়িয়ে এক চিরন্তন ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
রুনা লায়লা শুধু একজন শিল্পী নন তিনি উপমহাদেশের সঙ্গীত ইতিহাসের এক উজ্জ্বল অধ্যায়। তার সুরের জাদুতে আজও বুঁদ কোটি কোটি শ্রোতা।
৭৩তম জন্মদিনে এই কিংবদন্তি শিল্পীর জন্য রইল শুভকামনা। আরও সুস্থ থাকুন, আরও গান উপহার দিন এটাই ভক্তদের প্রত্যাশা।
কোক স্টুডিওতে রুনা লায়লার ‘মাস্ত কালান্দার’
আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন মেহজাবীন