ঢাকা
বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

হাসিনা পরিবারের ৮৩২.৫ ভরি জব্দকৃত সোনার বৈধতা যাচাই করা হচ্ছে: দুদক

আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:০০ পিএম

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও এনবিআরের যৌথ টাস্কফোর্স সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নামে অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ৮৩২ ভরি স্বর্ণ জব্দ করেছে। বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

অগ্রণী ব্যাংকের মতিঝিল প্রিন্সিপাল শাখায় ভল্ট নং ৭৫১  শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে। এখানে জব্দকৃত সোনার পরিমাণ ৪,৯২৩.৬০ গ্রাম (৪২২ ভরি) স্বর্ণালঙ্কার, স্বর্ণের নৌকা ও বিভিন্ন শোপিস।

এছাড়া একই শাখায় ভল্ট নং ৭৫৩ শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার নামে; খানে জব্দকৃত সোনার পরিমাণ ৪,৭৮৩.৫৬ গ্রাম (৪১০ ভরি)। দুই ভল্ট মিলে মোট ৮৩২ ভরি।

দুদক জানিয়েছে, এখন সোনার বৈধতা ও ব্যক্তিগত মালিকানা যাচাই করা হচ্ছে। পূর্বে পূবালী ব্যাংকের ভল্ট পরীক্ষা করা হলেও সেখানে কোনো স্বর্ণ পাওয়া যায়নি।

দুদক মহাপরিচালক জানান, ভল্টে থাকা নথি এবং অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা গেছে যে জব্দকৃত স্বর্ণালংকারের মধ্যে কিছু অংশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত, আবার কিছু অংশ তার বোন এবং মেয়ের ব্যক্তিগত সম্পদ।

তিনি বলেন, ‘স্বর্ণালংকারগুলো আলাদা আলাদাভাবে মার্কিং (চিহ্নিত) করা ছিল।

আমাদের অনুসন্ধানকারী দলের কর্মকর্তারা এখন স্বর্ণালংকারগুলো আলাদা করবেন। কার কোন অংশটুকু আছে, তা নির্ধারণ করা হবে।’
মো. আক্তার হোসেন বলেন, ‘আমাদের অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যে অংশগুলো থাকবে, সেগুলো এই অনুসন্ধানের সঙ্গে সম্পৃক্ত, সেগুলো তারা বিবেচনা করবেন। অন্যগুলো অন্য অনুসন্ধানের অংশ হতে পারে।
 
জব্দ করা ৮৩২ ভরি স্বর্ণালংকারের মধ্যে শেখ হাসিনার কতটুকু–এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সেই অংশটুকু নির্ধারণ করার জন্যই ইনভেন্ট্রি করা হয়েছে এবং তার যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছেন তার সঙ্গে মিলিয়ে যাচাই করে তার অংশটুকু নির্ধারণ করা হবে। তার জন্যই এত কার্যক্রম।’

দুদকের চোখে জব্দ হওয়া এসব সোনা বৈধ না অবৈধ–জানতে চাইলে মহাপরিচালক বলেন, সম্পদ বিবরণী যাচাই করলে জানা যাবে স্বর্ণগুলো জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ কি না। যদি আয়ের উৎস জানা না যায় বা তা বৈধ আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ না হয়, তবেই তা অবৈধ সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

শেখ হাসিনার সম্পদ বাজেয়াপ্তের বিষয়ে আদালতের একটি নির্দেশনার আলোকে এই সম্পদ জব্দ করা হবে কি না- এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, সেটা ভিন্ন জিনিস। আদালতের একটা আলাদা আদেশ রয়েছে। তবে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও বিধির আলোকে আমাদের অনুসন্ধান দল এই কার্যক্রম ঠিক করে আদালতের অনুমতিক্রমে যে সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে, সেই অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

FJ
আরও পড়ুন