অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুটি লকারে ৮৩২ দশমিক ৫ ভরি সোনা পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) আদালতের অনুমতিতে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) যৌথ টিম লকার দুটি খুলে এসব সোনার গহনা জব্দ করে।
সিআইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও উপস্থিত থাকা ম্যাজিস্ট্রেট নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ এ সংক্রান্ত খবর তার ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছেন। আদালতের অনুমতি নিয়ে এই প্রথম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাংকের লকার খোলা হলো।
সূত্র জানায়, আদালতের অনুমতি নিয়ে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) ও দুদকের একটি দল ওই লকার দুটি খোলে। লকার দুটিতে ৮৩২ দশমিক ৫ ভরি সোনা পাওয়া গেছে। ওই লকার দুটি জব্দ করেছিল এনবিআরের গোয়েন্দা ইউনিট (সিআইসি)।
গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনা ও তার পরিবার সদস্যদের কর ফাঁকি ও দুর্নীতির তদন্ত শুরু করে। এর অংশ হিসেবে শেখ হাসিনার নামে থাকা বিভিন্ন ব্যাংকের লকার জব্দ করে সিআইসি।
গত ১০ সেপ্টেম্বর সিআইসি রাজধানীর সেনা কল্যাণ ভবনে অবস্থিত পূবালী ব্যাংকের মতিঝিল করপোরেট শাখায় অভিযান চালিয়ে শেখ হাসিনার নামে থাকা ১২৮ নম্বর লকারটি জব্দ করে। এ সময় পূবালী ব্যাংকের ওই শাখায় শেখ হাসিনার দুটি ব্যাংক হিসাবও জব্দ করে। একটি হিসাবে ১২ লাখ টাকা এফডিআর এবং অন্যটিতে ৪৪ লাখ টাকার সন্ধান পান তারা। এ সব হিসাব তখন জব্দ করা হয় এবং টাকা উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
এরপর, গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর দিলকুশায় অবস্থিত অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখায় (সাবেক স্থানীয় কার্যালয় শাখা) শেখ হাসিনার আরও দুটি লকারের সন্ধান পায় সিআইসি। লকারের নম্বর দুটি হলো ৭৫১ ও ৭৫৩।
কড়াইল বস্তিতে আগুন : প্রধান উপদেষ্টার উদ্বেগ ও সমবেদনা 