আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষে মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের সম্মাননা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন। কৃষি, শিক্ষা, গবেষণা, চিকিৎসা, প্রকৌশল, ব্যবসা ও সমাজসেবাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদান রাখা প্রবাসীদের ‘অভিবাসী দিবস পুরস্কার’ প্রদান করা হবে। এই সম্মাননার জন্য হাইকমিশন আগ্রহী প্রবাসীদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করেছে।
হাইকমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগ্রহী প্রবাসীরা আগামী শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ২০২৫ তারিখের মধ্যে আবেদন জমা দিতে পারবেন। আবেদনকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য, পাসপোর্ট নম্বর, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, পাসপোর্ট সাইজ ছবি, পেশাগত পরিচিতি, অর্জন/অবদানের বিবরণ (সর্বোচ্চ ৫০০ শব্দে) ও প্রমাণাদি জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র ডাকযোগে পাঠানো যাবে বাংলাদেশ হাইকমিশন, মালয়েশিয়া (No 8, Lorong Yap Kwan Seng, 50450, Kuala Lumpur) অথবা ই-মেইলে- [email protected] এবং [email protected]-এ।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসীদের এনআইডি কার্যক্রম উদ্বোধনবাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদান সুপরিচিত। বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার সবচেয়ে বড় উৎস রেমিট্যান্স, যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আসে মালয়েশিয়ায় কর্মরত প্রায় ৮ লাখ বাংলাদেশি অভিবাসীর কাছ থেকে। তারা শুধু অর্থ পাঠিয়েই সীমাবদ্ধ নন, বরং ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক বিস্তার, স্থানীয় অর্থনীতিতে অবদান এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করে চলেছেন।
শুধু আর্থিক দিক থেকে নয়, প্রবাসীরা বাংলাদেশকে বৈশ্বিক পর্যায়ে পরিচিত করতে একটি কার্যকর সেতুবন্ধনের ভূমিকা পালন করছেন। ডাক্তার, প্রকৌশলী, গবেষক থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করছে।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের এই উদ্যোগ মূলত প্রবাসীদের অবদানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার একটি প্রয়াস। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ ধরনের স্বীকৃতি প্রবাসীদের ব্যক্তিগত সম্মাননার পাশাপাশি তাদের আরও অনুপ্রাণিত করবে, মনোবল বাড়াবে এবং নতুন উদ্যোগ গ্রহণে উৎসাহিত করবে।
কুয়েত প্রবাসীদের জন্য সুখবরপ্রতিবছর বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিশ্বজুড়ে পালিত হয় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস। একই দিনে বাংলাদেশে পালিত হয় জাতীয় প্রবাসী দিবস। এ দিবস প্রবাসীদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং অভিবাসন খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করার একটি সুযোগ।
বিশ্লেষকদের মতে, হাইকমিশনের এ পদক্ষেপ প্রবাসীদের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে এবং মালয়েশিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে থাকা বাংলাদেশিদের মর্যাদা ও আত্মপরিচয়কে আরও উজ্জ্বল করে তুলবে।
