স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে ব্যতিক্রমী আয়োজন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের

ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে অনুষ্ঠিত হলো রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীনবরণ অনুষ্ঠান। স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকা ও পর্যাপ্ত অবকাঠামোর অভাবে এবার এই ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১১ আগস্ট) সকাল ১০টায় অস্থায়ী অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এর সামনে এবং মহাসড়কের এক  অংশ জুড়ে এ আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয় এবং বিভাগীয় চেয়ারম্যানরা রাস্তার ওপর থেকেই বক্তব্য দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী অডিটোরিয়ামে মাত্র ৬০টি আসন থাকায় সেখানে ২৫০ জন নতুন শিক্ষার্থীকে স্থান দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ কারণে অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীরা নবীনবরণ রাস্তায় করার দাবি জানায়, যাতে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়। শিক্ষকরাও এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে মূল অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন মহাসড়কের পাশে।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর নজরুল ইসলাম বলেন যথাযথ অবকাঠামো না থাকায় আমাদের এই আয়োজন করতে হয়েছে। এটা কোনো আনন্দ আয়োজন নয়, বরং স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবি জানানোর এক ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ।

প্রসঙ্গত,  রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালে। প্রায় নয় বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো এই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির স্থায়ী ক্যাম্পাস নেই। সরকারি প্রকল্প হিসেবে ৫১৯ কোটি ১৫ লাখ টাকার একটি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) একনেক সভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে বহুদিন ধরে।

শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা বলছেন, তারা বারবার দাবি জানালেও প্রকল্পটি কেন অনুমোদিত হচ্ছে না, তা বোঝা যাচ্ছে না। এর প্রতিবাদে গত ২৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস বর্জনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আমরা শুধু চাই, একনেক সভায় যেন আমাদের প্রকল্পটি অনুমোদন হয়। আমরা বারবার শুধু আশ্বাস শুনছি।

স্থানীয়রাও বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ থেমে আছে, এতে এলাকার শিক্ষা, উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।