বৃষ্টিতে ভিজে ঠান্ডা লেগে গেলে যা করবেন

বৃষ্টির মৌসুমে আচমকাই বৃষ্টি হচ্ছে আবার তীব্র গরমে ঘেমে একাকার হয়ে যাচ্ছেন অনেকেই। ঘাম আর বৃষ্টির জন্য বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে খুসখুসে কাশি, সর্দি, সেইসঙ্গে গলা ব্যথার মত উপসর্গগুলো দেখা যায়। এছাড়া আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেও এই সমস্যাগুলো লক্ষ করা যায়।

আসুন জেনে নিই বৃষ্টিতে ভিজে ঠান্ডা লেগে গেলে কী করবেন-

১.চিকেন স্যুপ
চিকেন স্যুপ সর্দি-কাশির সমস্যায় খুব ভালো কাজে দেয়। তাই এসময় গরম গরম চিকেন স্যুপ খেতে পারেন। কেননা এটি খেতেও ভালো লাগে আবার তা পুষ্টিগুণেও ভরপুর।

২.ফল ও দই
দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক হজমশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। এছাড়া প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আপেল, লেবু, বাতাবিলেবু, আপেল সিডার ভিনেগার, কাঁচামরিচ রাখুন। কেননা এই ফলগুলোতে থাকা ভিটামিন সি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে, আপনিও তাড়াতাড়ি ঠাণ্ডার হাত থেকে রক্ষা পাবেন।

৩.গরম পানি দিয়ে কুলি 
গরম পানিতে সামান্য লবণ আর হলুদ দিয়ে কুলি করুন। কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল পানিতে মিশিয়ে নাক দিয়ে ধোঁয়া টেনে নিন। ধোঁয়া টেনে নেয়ার সময় মাথার ওপর থেকে তোয়ালে দিয়ে নেবেন। এতে কফ তাড়াতাড়ি পাতলা হয়ে যাবে।

৪.গোলমরিচ ও মধু
দুই কাপ ফুটন্ত পানিতে এক চা চামচ অল্প থেঁতলে নেয়া গোলমরিচ দিয়ে ফোটান দশ মিনিট ধরে৷ তারপর এই পানিটা ছেঁকে নিয়ে দুই টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে ধীরে ধীরে পান করুন৷ তাতে কাশি কমবে, বুকে সর্দিও বসবে না।

৫.লেবু ও আদা 
আধা ইঞ্চি মাপের আদা টুকরা করে কেটে নিন৷ সেটা গরম পানিতে ফোটাতে শুরু করুন৷ পাঁচ মিনিট পর নামিয়ে ছেঁকে নিন, তারপর একটা মাঝারি আকারের লেবুর রস আর এক বড় চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।

৬.আদা-পুদিনা-মধু 
এক ইঞ্চি মাপের আদা স্লাইস করে নিন৷ এক মুঠো পুদিনাপাতা ভালো করে ধুয়ে নিন৷ এক বোতল পরিমাণ পানির সঙ্গে আদা আর পুদিনাপাতা মিশিয়ে একসঙ্গে ফুটাতে শুরু করুন। এক কাপের মতো পরিমাণ হলে গ্যাস বন্ধ করে আধা কাপ মধু মিশিয়ে নিন। একটু গরম থাকতে থাকতেই পান করুন। পুরোটা একেবারে খাওয়ার দরকার নেই তবে যখনই খাবেন, তখন একটু গরম করে নেবেন। এতে আপনার কফটাও পাতলা হয়ে যাবে।

৭. ভেষজ উদ্ভিদ বাসক

সর্দি-কাশি দূর করতে এই পাতার রস অনেক উপকারী। এ ছাড়া শ্বাসকষ্ট, জ্বর কমানো, খিঁচুনি, জন্ডিস, দাঁতের সমস্যা, ঘামের গন্ধ দূর, রক্ত পরিষ্কার করতে আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় এই পাতার রস ব্যবহার করা হয়ে থাকে।বাসক পাতা ত্বকের যত্ন নিতেও দারুণ  উপকারী। চর্মরোগের চিকিৎসায়ও ম্যাজিকের মতো কাজ করে বাসক পাতার রস। প্রতিদিন ২ থেকে ৩ টি পাতার রস খাওয়া উপযুক্ত। বেশি খেলে পেটে সমস্যা হতে পারে।