বাংলাদেশ থেকেও কি দেখা যাবে সুপারমুন

চলতি বছরের প্রথম সুপারমুন দেখা যাবে আগামী ৭ অক্টোবর রাতে। ওই দিন চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে আসবে, ফলে এটি স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ১৪ শতাংশ বড় এবং ৩০ শতাংশ বেশি উজ্জ্বল দেখা যাবে। এই বিরল মহাজাগতিক দৃশ্যকে বলা হয় ‘হার্ভেস্ট মুন’, যা প্রতিবছর শরৎ ঋতুর শুরুতে দৃশ্যমান হয়।

জ্যোতির্বিজ্ঞানবিষয়ক সংস্থা সুপারকোর জানিয়েছে,  দক্ষিণ এশিয়ার আকাশে এটি অত্যন্ত স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হবে।ফলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, নেপাল, ভুটান ও শ্রীলঙ্কাসহ দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশ থেকেই সুপারমুন খালি চোখে দেখা যাবে। আবহাওয়া পরিষ্কার থাকলে ৬ ও ৭ অক্টোবর দুই রাতেই বাংলাদেশ থেকে এই মহাজাগতিক দৃশ্য উপভোগ করা যাবে।

সুপারমুন উপভোগ করার জন্য কোনো বিশেষ যন্ত্রপাতির প্রয়োজন নেই। খোলা আকাশে দিগন্ত বরাবর তাকালেই সহজে দেখা যাবে। তবে আলোদূষণ কম এমন জায়গায় গেলে চাঁদের সৌন্দর্য আরো স্পষ্টভাবে চোখে পড়বে। শহরের কোলাহলমুক্ত পরিবেশে এই সুপারমুনের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য সবচেয়ে ভালোভাবে উপভোগ করা সম্ভব হবে।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, ‘হার্ভেস্ট মুন’ হলো শরতের শুরুতে উদিত বিশেষ এক ধরনের পূর্ণিমার চাঁদ। এই সময় চাঁদ সাধারণ পূর্ণিমার চেয়ে দ্রুত উদিত হয় এবং একাধিক রাত ধরে আকাশে অবস্থান করে। চাঁদ যখন দিগন্তের কাছাকাছি থাকে, তখন এটি আরও বড় এবং সোনালি বা কমলা রঙের দেখায়। এই সময় সন্ধ্যার পরপরই চাঁদ ওঠে বলে তা বেশি উজ্জ্বল মনে হয়।

পাকিস্তান স্পেস কমিশন জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর রাতে চাঁদ পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৬১,৪০০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করবে। ফলে দক্ষিণ এশিয়ার আকাশে এটি অত্যন্ত স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হবে।

আদি কৃষিনির্ভর সমাজে শরৎকালীন ফসল কাটা হতো রাতেও, পূর্ণিমার আলোয়। এই কারণেই শরতের এই পূর্ণিমাকে ‘হার্ভেস্ট মুন’ বলা হয়। এটি শুধু একটি জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ঘটনা নয়, বরং কৃষি-সংস্কৃতির একটি ঐতিহাসিক প্রতীক।