রাজধানীর বেইলি রোডে একটি বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত উখিয়ার কাস্টমস ইন্সপেক্টর শাহজালাল উদ্দিনের পরিবারে বইছে শোকের ছায়া। একসঙ্গে তিনজন সদস্যকে হারিয়ে দিশেহারা পুরো পরিবার। শাহজালালের মুক্তিযোদ্ধা বাবা বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য ছুটে আসছে গ্রামবাসীরা।
রোববার (৩ মার্চ) বেলা ১১টায় নামাজে জানাজা শেষে তাদের কবরে দাফন করা হয়েছে। নিহতরা হলেন- ইন্সপেক্টর শাহজালাল উদ্দিন, তার স্ত্রী মেহেরুন নেসা হেলালী ও তাদের মেয়ে ফাইরুজ কাশেম জামিলা। শাহজালাল নারায়ণগঞ্জ পানগাঁও কাস্টম হাউসের কাস্টম অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
শাহজালালের বড় ভাই ও হলদিয়া পালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাজান সাজু বলেন, রোববার বেলা ১১টায় মরিচ্যা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাদের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাদের মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকে আব্বা ভেঙে পড়েছেন।
ছোট ভাই হেলাল মোরশেদ সোহাগ বলেন, মেজো ভাই শাহজালাল ৩ দিন অফিস থেকে ছুটি নিয়ে স্বপরিবারে খাগড়াছড়ি-সাজেকে বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিল। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টায় গ্রীন লাইন সার্ভিসযোগে রওনা দেবে বলে গাড়ির টিকিট কনফার্ম করে রাতে ডিনার করতে কাচ্চি ভাইয়ে যান। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সেখানে তারা এই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।
শাহজালালের বোন তসলিমা আকতার বলেন, ভাইদের মধ্যে অনেকটা বাবার ভূমিকা পালন করতেন তিনি। সবসময় ফোন করে খোঁজ-খবর নিতেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়ও ফোন করে কিছু লাগবে কিনা জানতে চেয়েছিলেন। এখন ভাই আর নেই।
