প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ঢাকা ছাড়ছে কর্মব্যস্ত মানুষ, বিভিন্ন বাস টার্মিনালে বাড়ছে ভিড়। গত ২৫ মার্চ যেসব যাত্রী অগ্রিম টিকিট পেয়েছেন তারাই বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) কমলাপুর থেকে যাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে।
তবে প্রতিবছর ঈদ যাত্রায় নানা ভোগান্তির অভিযোগ থাকলেও এ বছর যাত্রীদের সেরকম অভিযোগ নেই। নির্ধারিত নিয়মে পেয়েছেন টিকিট আবার নির্ধারিত সময়ে ছাড়ছে ট্রেনও। দুই একটি ট্রেন কয়েক মিনিট বিলম্ব হলেও সেটাও মানিয়ে নিচ্ছেন যাত্রীরা।
এদিকে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপন শেষে মানুষের ঢাকায় ফেরার জন্য ট্রেনের ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছে রেলওয়ে। বুধবার (৩ মার্চ) ১৩ এপ্রিলের আন্তনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হয়।
রেলওয়ের সূচি অনুযায়ী, ১৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ৪ এপ্রিল; ১৫ এপ্রিলের টিকিট ৫ এপ্রিল; ১৬ এপ্রিলের টিকিট ৬ এপ্রিল; ১৭ এপ্রিলের টিকিট ৭ এপ্রিল; ১৮ এপ্রিলের টিকিট ৮ এপ্রিল এবং ১৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ৯ এপ্রিল।
অন্যান্য বছর ঈদের এই সময়টায় দক্ষিণাঞ্চলগামী মানুষের ভিড় লেগে থাকত সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। তবে গত দুবছর ধরে চিত্র ভিন্ন। দ্রুত যাতায়াতের জন্য সবাই বেছে নিচ্ছেন পদ্মা সেতু হয়ে বাসরুট।
গাবতলী-মহাখালী-সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে ধাপে ধাপে যাচ্ছে মানুষ। সময়মত গাড়ি না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ। লঞ্চে এখনো ভিড় দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম খান বলেছেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল দিয়ে বিভিন্ন রুটে লঞ্চ চলাচল করত দৈনিক ১০০-১৫০টি। যাত্রীর অভাবে সেটা এখন অর্ধেকের বেশি কমে দাঁড়িয়েছে ৪০-৫০টিতে।
