দেশে ঘটে গেল সরকার পতনের এক ছাত্র-জনতার আন্দোলন। এই আন্দোলনে এরই মধ্যে পালিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক মাসের বেশি সময় ধরা এই আন্দোলনে শুরু থেকেই ছাত্র-জনতার ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়। শেখ হাসিনার পতনের পর দেশজুড়ে বিজয়োল্লাস এখনও চলমান থাকলেও বসে নেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে রাজধানীতে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় ও রং তুলি দিয়ে দেয়াল পরিষ্কারে ব্যস্ত দেখা গেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিনসহ তাঁর সঙ্গীদের।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) দিন ভরে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব, ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ, ধানমণ্ডি ও মোহাম্মদপুরের কয়েকটি এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত দেয়াল পরিষ্কার ও রং তুলি দিয়ে দেয়াল লিখনে তাঁকেও ব্যস্ত দেখা যায়। শিক্ষার্থীরা জানান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিনের নিজস্ব অর্থায়নে এসব হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, অপরিচ্ছন্ন প্রতিটি দেওয়াল কালো, সাদা, লাল, নিল, হলুদসহ নানা রঙে জল তুলির আঁচড়ে রাঙাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের কারো হাতে ছিল রঙ-তুলি, আবার কেউ কেউ একে অপরকে পান করাচ্ছেন পানি। অনেকেই আবার দেখিয়ে দিচ্ছেন কোথায় কি রঙ, কোন ক্যালিওগ্রাফি করবেন। সবার চোখেমুখেই যেন ছিল বিজয়ের হাসি।
দেয়াল পরিষ্কার ও আলপনা লিখনে ব্যস্ত শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষার্থীদের খুনের দায়ে আমরা আন্দোলন করে সরকার পতন করেছি। এখন দেশটা গোছাতে হবে। শহরের বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের পোস্টার, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছিলো। এসব পোস্টার, ফেস্টুন অপসারণ করে সৌন্দর্য বাড়াতে দেয়াল লিখন চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত দেয়াল পরিষ্কার ও রং তুলি সরঞ্জাম দিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন আল আমিন ভাইও।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিন বলেন, দেশের জন্য সব গণআন্দোলনেই সামনের সারিতে থেকে লড়াই করেন শিক্ষার্থীরা। এবারের গণঅভ্যুত্থানেও নেতৃত্ব দিয়েছেন তারাই। বিজয়ের পর শিক্ষার্থীরা যেন ফিরেছেন বীরের বেশে। পরিবর্তন আনতে এবং নতুন দেশ গড়ার প্রত্যাশায় কর্মযজ্ঞ শুরু করেছেন তারা। ইনশাআল্লাহ আমরা সবাই আমাদের এই নতুন ভাবে পাওয়া স্বাধীন রাষ্ট্রটাকে মিলেমিশে নতুন করে তৈরি করব।
