পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে লংমার্চ নিয়ে সচিবালয় অভিমুখে যাওয়া অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। লাঠিচার্জে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে শিক্ষাভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে শাহবাগ থেকে সচিবালয় অভিমুখে রওনা দেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষাভবনের সামনে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের লাঠিচার্জ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শিক্ষার্থীরা পুলিশি বাধা ও ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয়ের সামনে যেতে চাইলে শিক্ষা ভবনের সামনে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। এরপর লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। এ সময় সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দও শোনা যায়। পুলিশের ধাওয়ায় ফের শাহবাগ ফিরে ছত্রভঙ্গ হয়ে গেছেন আন্দোলনরত ম্যাটস শিক্ষাথীরা।
সিরাজগঞ্জ সরকারি ম্যাটসের শিক্ষার্থী এবং ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের সিনিয়র সমন্বয়ক আহসান হাবিব বিকাল পৌনে ৫টার দিকে বলেন, ‘আমাদের এখানে খুব ঝামেলা হচ্ছে। পুলিশ আমাদের লাঠিপেটা করছে।’
এর আগে বেলা ১১টার দিকে শাহবাগের সড়ক অবস্থান নেন ম্যাটস শিক্ষার্থীরা। সাড়ে ১১টার দিকে তারা অবস্থান নেন শাহবাগ মোড়েই অবস্থিত জাতীয় জাদুঘরের সামনের সড়কে। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়ার সড়কটি বন্ধ হয়ে যায়।
সেখান থেকে বিকালে লংমার্চ শুরু করেন ম্যাটস শিক্ষার্থীরা। তবে লংমার্চ শুরুর আগে দুপুর ২টার দিকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে শাহবাগে আসেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা তুহিন ফারাবি।
তিনি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার পর সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের আজহারুল হক রামিম, মুজাহিদুল ইসলাম, হাসিবুল ইসলাম শান্ত, আহমদ উল্লাহ মানসুর ও শামীম মিঞাকে নিয়ে সচিবালয়ে যান।
দেশে ১৬টি সরকারি এবং ৫১টি বেসরকারি অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল আছে। এসব ট্রেনিং স্কুল থেকে তিন বছরের কোর্স সম্পন্ন করলে শিক্ষার্থীরা ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি ডিগ্রি পান। এরা বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান।
চবি শিক্ষার্থীদের পুলিশের লাঠিচার্জ