রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। তাদের দাবি, সোমবার (৭ জুলাই) পুলিশ হেফাজতে নেওয়া ১৩ জন সহযোদ্ধাকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায়, তারা সবাই রমনা থানায় গিয়ে গণ-আত্মসমর্পণ করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
চাকরিচ্যুত সদস্যদের এই আন্দোলনের সূচনা হয় সোমবার সকালে, শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে তিন দফা দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে। পরে পুলিশের বাধা অগ্রাহ্য করে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ‘যমুনা’র দিকে রওনা হন তারা। পথিমধ্যে মৎস্য ভবন এলাকায় পুলিশ তাদের আটকে দেওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু আন্দোলনকারীরা সেখানে বসে পড়েন এবং কাকরাইল মোড় পর্যন্ত অগ্রসর হন।
কাকরাইল মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ তাদের ১০ মিনিটের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেয়। নির্দেশ অমান্য করায় পুলিশ জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন। একইসঙ্গে, ১৩ জন আন্দোলনকারীকে আটক করা হয়।
সঙ্গীদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভকারীরা সময়সীমা বেঁধে দেন এবং জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আত্মসমর্পণই তাদের একমাত্র পথ হয়ে থাকবে।
সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ যমুনা ও তার আশপাশের এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে এবং যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
এই আন্দোলন এবং সরকারের প্রতিক্রিয়া ঘিরে কী পরিণতি দাঁড়ায়, তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে দেশের নানা মহলে।
