ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ঢামেকে একসঙ্গে জন্ম নেওয়া ৬ শিশুর একজনের মৃত্যু

আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৩৯ এএম

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়া যমজ ৬ শিশুর মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢামেক হাসপাতালের নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) মৃত্যু হয় ছেলে নবজাতকটির। 

এর আগে একই দিন সকাল ৯টার দিকে ঢামেকের গাইনি বিভাগের লেবার ওয়ার্ডে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার মোকসেদা আক্তার প্রিয়া (২৩) ছয় সন্তানের জন্ম দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রিয়ার ননদ ফারজানা আক্তার জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে এক ছেলে বাচ্চা মারা গেছে। ৬ নবজাতকের মধ্যে তিনজনকে ঢামেকের এনআইসিইউতে এবং বাকি তিনজনকে বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউতে রাখা হয়েছিল।

এর আগে ঢামেক গাইনি বিভাগের ইউনিট-১ এর অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডা. আবিদা সুলতানা জানান, শনিবার রাতে প্রিয়া হাসপাতালে ভর্তি হন। রোববার সকালে তিনি একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এটি আসলে পূর্ণাঙ্গ ‘বেবি’ নয়, বরং ২৭ সপ্তাহের ইনএবিটেবল অ্যাবরশন।

তিনি বলেন, শিশুদের মধ্যে তিনজনের ওজন প্রায় ৯০০ গ্রাম এবং বাকি তিনজনের ৮০০ গ্রাম। তিনজন ঢামেকের এনআইসিইউতে এবং তিনজন বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউতে চিকিৎসাধীন। এখন পর্যন্ত আলহামদুলিল্লাহ, ৫ জন জীবিত আছে, ভালো আছে।

ডা. আবিদা আরও বলেন, আমাদের দেশে সাধারণভাবে ২৮ সপ্তাহকে ভায়াবল এইজ ধরা হয়। রোগীর ক্ষেত্রে ডেলিভারি তার আগেই হয়ে গেছে। তবে ঢামেকের উন্নত এনআইসিইউ ফ্যাসিলিটি থাকায় ভাগ্যে থাকলে শিশুরা বেঁচে যেতে পারে।

ওভুলেশন ইনডাকশন ড্রাগ সেবনের কারণে একসঙ্গে একাধিক সন্তান ধারণ সম্ভব হয় জানিয়ে তিনি বলেন, জরায়ুর সীমিত ধারণক্ষমতার কারণে আগেভাগেই ডেলিভারি হয়েছে। এ ধরনের ইনফার্টিলিটি চিকিৎসার পর রোগীকে নিয়মিত চিকিৎসকের ফলোআপে থাকতে হয়। অনেক সময় রোগীরা প্রথম ধাপ পার হয়ে গেলে চিকিৎসকের কাছে আর যান না, তখনই এমন জটিলতা দেখা দেয়।

তিনি জানান, সাধারণত ছয়টি সন্তান গর্ভে ধারণ করা স্বাভাবিকভাবে সম্ভব নয়। ইনফার্টিলিটি চিকিৎসায় আইভিএফ পদ্ধতিতে একাধিক ভ্রূণ গঠিত হলে সাধারণত কিছু ভ্রূণ অপসারণ করা হয়। কিন্তু এই রোগী সেই পদ্ধতি নেননি। ফলে ছয়টি ভ্রূণই বেড়ে ওঠে এবং জরায়ুর সীমাবদ্ধতার কারণে আগেভাগেই ডেলিভারি হয়।

প্রিয়ার পরিবার থেকে জানা গেছে, তিনি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বাসিন্দা। তার স্বামী হানিফ কাতার প্রবাসী। প্রিয়ার খালু বাবুল বলেন, প্রিয়া ছয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এর মধ্যে তিনজন ঢামেকের এনআইসিইউতে এবং তিনজন কাঁটাবনের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা আমাদের প্রতি খুব ভালো সহযোগিতা করেছেন, আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

HN
আরও পড়ুন