আতরের প্রচলিত ধারনা থেকে বেরিয়ে এসে এক নতুন ঘ্রাণ সংস্কৃতির সূচনা করছে ‘ যুবী যুবায়ের’। আতরকে শুধু ধর্মীয় অনুষঙ্গ নয়, বরং স্টাইল ও আত্মপ্রকাশের মাধ্যম হিসেবে তুলে ধরতে চান সুগন্ধি শিল্পী সৈয়দ জুবায়ের মোহাম্মদ। তার ভাষায়, ‘আতর মানেই পুরনো, ভারী, উডি বা অতিমিষ্ট ঘ্রাণ এই চিরায়ত ধারণা বদলাতে আমরা কাজ করছি।’
সম্প্রতি রাজধানীতে এক সুগন্ধি প্রদর্শনীতে অংশ নিয়ে যুবায়ের জানান, তার ব্র্যান্ড ‘যুবায়ের’ মূলত আধুনিক প্রজন্মকে মাথায় রেখেই আতরের নতুন ফর্মুলেশন তৈরি করছে। আন্তর্জাতিক মানের এসেনশিয়াল অয়েল ও ফ্র্যাগ্রেন্স উপাদান মিশিয়ে এমন ঘ্রাণ তৈরির চেষ্টা চলছে যা তরুণদের রুচি ও স্টাইলের সঙ্গে মানানসই।
তিনি বলেন, এবারের সুগন্ধী প্রদর্শনী বা ফ্র্যাগরেন্স এক্সিবিশনে অংশ নিয়েছে ৩০টিরও বেশি দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ড ও এক্সিবিটর। প্রদর্শনীতে ‘যুবী যুবায়ের’ স্টলে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে তরুণরা। তারা আতরের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে কারণ আমরা নতুন কিছু নিয়ে এসেছি।’
জুবায়েরের মতে, আতর শুধু ধর্মীয় ব্যবহারেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং একটি স্মার্ট আউটফিটের সঙ্গে আতর হতে পারে দারুণ মানানসই এক স্টাইল স্টেটমেন্ট।
তিনি বলেন ‘আমরা চেষ্টা করছি এমন সব ক্যাটাগরির ঘ্রাণ তৈরি করতে যার মধ্যে থাকবে সুইট, ফ্রেশ, উডি, স্পাইসি যা আগে আতরে তেমনভাবে দেখা যেত না। এই বৈচিত্র্যই নতুনদের আকর্ষণ করছে।’
তার মতে, আতর নিয়ে একধরনের দূরত্ব ছিল নতুন প্রজন্মের মাঝে। ‘যুবী যুবায়ের’ সেই দূরত্ব ঘোচাতে আতরকে উপস্থাপন করছে আধুনিক ডিজাইন, ঘ্রাণ ও ব্র্যান্ডিংয়ে। এর মাধ্যমে আতরকে একটি ‘আধুনিক সুগন্ধি সংস্কৃতির অংশ’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্য রাখছে তারা।
