মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাডের দুর্ঘটনার পর গড়ে ১০ শতাংশ যাত্রী কম যাতায়াত করছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) উত্তরায় ডিএমটিসিএলের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
যাত্রী কমার বিষয়ে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, আগে দৈনিক গড়ে চার লাখ ৬০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতেন। এ সংখ্যা এখন চার লাখের আশপাশে রয়েছে। ভূমিকম্পে মেট্রোরেলের ফিজিক্যাল কোনো ক্ষতি হয়নি বলেও জানান তিনি।
ভূমিকম্পে মেট্রোরেলের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তিনি বলেন, গত ২১ নভেম্বর সারা দেশে অনুভূত ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেবল দুটি টেইলস পড়ছে। ফাটলের বিষয়টি জানা নেই। আপনার আমার বাসাবাড়িতেও এমন জিনিস পড়েছে।
শুক্রবার ২৭ মিনিট পর ট্রেন চলাচলের বিষয়ে তিনি বলেন, শুক্রবার ৩টার পরিবর্তে ৩টা ২৭ মিনিটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। পাবলিক সেফটির জন্য লেট করছি। কারণ চাইলেই তো চালিয়ে দেওয়া যায় না পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া।
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন আমরা পাবলিক সার্ভিস শুরুর আগে একটি সুইপার ট্রেন চালাই সব কিছু চেক করার জন্য; কিন্তু সেদিন (২১ নভেম্বরের ভূমিকম্পের দিন) আমরা দুটি সুইপার চালিয়েছে, যার কারণে লেট হয়েছে।
রোববার (৩০ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর সচিবালয় লাগোয়া মেট্রোরেল স্টেশনের দুই বগির মাঝখানে পড়ে ঝুলে ছিল এক শিশু। এ কারণে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করে এমআরটি পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে এক কর্মকর্তা বলেন, সচিবালয় স্টেশনে ট্রেন দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় মধ্যস্থান দিয়ে এক বগি থেকে আরেক বগিতে যাওয়ার সময় ফাঁকা স্থান দিয়ে নিচে পড়ে যায় এক শিশু। সে পড়ে না গেলেও ঝুলে গিয়েছিল। তাকে উদ্ধারের জন্য কিছুক্ষণ মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
জানা গেছে, রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করেছে মেট্রো পুলিশ। তবে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সব ধরনের বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
