কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। হিমেল বাতাসে জনজীবন নাকাল হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে চরাঞ্চলের মানুষের কষ্ট আরও বেড়েছে, এতে করে তারা ঠিকমতো কাজে বের হতে পারছেন না।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, আজ শুক্রবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জানা গেছে, জেলার ১৬ নদনদীর তীরবর্তী এলাকায় থাকা ৪৬৯টি চরের মধ্যে ২৬৯টিতে মানুষের বসবাস। এসব চরের অধিকাংশ এলাকায় তীব্র শীতের কারণে মানুষ হিমেল বাতাসে ঘরবন্দী হয়ে পড়েছেন।
বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী ও চররাজিবপুর উপজেলার চরে শীতের তীব্রতা কয়েক গুণ বেশি। এর মধ্যে বৃদ্ধ, শিশু ও দিনমজুররা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। শীতের কারণে দিনমজুরদের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে তাদের দিন কাটছে চরম কষ্টে।
ধরলার পার এলাকার বাসিন্দা ফজলু মিয়া (৬০) বলেন, আমরা গরিব মানুষ। ঘরে পরার মতো মোটা কাপড় নেই। রাতে ঘুমাতে গেলে ঠান্ডায় শরীর জমে যায়।
শিক্ষার্থী রাকিব জানায়, শীতের কারণে আমাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে। রাস্তায় বের হওয়া যায় না, সকালে স্কুলে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। লেখা পড়ায়ও খুব কষ্ট হচ্ছে।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, কুড়িগ্রাম জেলায় আজ শুক্রবার সকাল ৬টায় ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আদ্রতা ৯৮ শতাংশ।
