মিয়ানমারের সেনা ও বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ৫৮ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ৭ জন, চাকঢালা সীমান্ত দিয়ে ৫ জন ও গয়ালমারা সীমান্ত দিয়ে ৩৪ জন সেনা ও বিজিপি সদস্য পালিয়ে আসেন। এর আগে একই দিন সকালে নাইক্ষ্যংছড়ির রেজুপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২জন এবং জমছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এনিয়ে মঙ্গলবার একদিনেই মোট ৫৮ জন সেনা ও বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এসময় তাদের নিরস্ত্র করে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ক্যাম্পের হেফাজতে রাখা হয়েছে। তবে আশ্রয় নেয়াদের মধ্যে ঠিক কতজন সেনা ও কতজন বিজিপি সদস্য রয়েছেন তা নিশ্চিত করেনি বিজিবি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার রাতে মিয়ানমারে অভ্যন্তরে জান্তা বাহিনী ও আরাকান বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘাতে টিকতে না পেরে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশ আশ্রয় নিচ্ছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীরা।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা তাদের অস্ত্র জব্দ করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। বর্তমানে ২৬০ জন বিজিপি সদস্য বিজিবির হেফাজতে রয়েছে।
টেকনাফ–২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিজিবি প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদী ও সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।
