পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বগুড়ায় জমে উঠেছে গরীবের ‘ভ্যানপ্লাজা’ খ্যাত শহরের সাতমাথার ফুটপাত ও রিকশা ভ্যানের ওপর সাজানো দোকানগুলো। যেখানে নিম্নবিত্ত মানুষরা ভিড় করছেন। কম দামে পছন্দের পণ্য পেয়ে খুশি তারা।
ক্রেতারা জানান, শহরের নামীদামী মার্কেটগুলোর তুলনায় এখানে খুবই অল্প দামে টিশার্ট, শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, স্যান্ডেলসহ নানা ধরনের পোশাক মিলছে। তাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে গরীবের এই ‘ভ্যানপ্লাজা’।
শহর ঘুরে দেখা যায়, দুপুরের পর থেকে বেশি জমজমাট হয়ে উঠে এই ‘ভ্যানপ্লাজা’। শহরের সাতমাথা থেকে রানার প্লাজার মাঝের রাস্তার দুই পাশ এবং শেরপুর রোডে, থানার মোড়ে বিভিন্ন পণ্যের প্রায় ২০০ থেকে ২৫০টি দোকান বসে। এই ভ্যানগুলোতে থাকা পণ্যগুলো তারা কিনে আনেন ঢাকা ও সৈয়দপুর থেকে।
ভ্যান মার্কেটে পাঞ্জাবি, লুঙ্গি, টি-শার্ট, লেগিংস, প্যান্ট, ক্রপ টপ, ট্যাং টপ, হাফপ্যান্ট, স্কার্ফ, কুর্তিসহ প্রায় সব ধরনের পোশাকই পাওয়া যায়।
ছোটদের ফ্রক, টপ, প্যান্ট-গেঞ্জির সেট পাবেন ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়। প্রতিটি প্যান্ট ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, পাঞ্জাবি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ও শার্ট ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া ১৫০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের টি-শার্ট পাওয়া যাচ্ছে। দেশীয় নকশায় তৈরি এসব জুতার দাম ১৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা।
ভ্রাম্যমাণ ভ্যানের ব্যবসায়ী রফিকুল মিয়া বলেন, ‘ব্যস্ত মানুষের সময় নেই মার্কেটে গিয়ে প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার। তাই শহরের মূল কেন্দ্রে কোন কাজে এলে চলতি পথেই ভ্যানের ওপরে তারা প্রয়োজনীয় পণ্যটি পেয়ে যান।’

আরেক ভ্যান ব্যবসায়ী বেলাল হোসেন বলেন, ‘দামে কম, মানে ভাল হওয়ায় গরীব ও নিম্নবিত্ত মানুষ বেশি আসেন এখানে।’
ভ্যানে পোশাক কিনতে আসা শহরের ফুলবাড়ি এলাকার বাঁধন, আমিনসহ কয়েকজন বলেন, ‘আমাদের আয় কম, তাই এসি মার্কেটের পোশাক কেনা হয় না।’
এনজিও কর্মী রবিউল করিম হৃদয় বলেন, ‘ঈদ তো সবার জন্য, নতুন পোশাক পরিবারের সবার জন্য কিনতে হয়। তাই এখানে এসে কমদামে বেশ কয়েকটা পাঞ্জাবি কিনেছি। যা মার্কেটে গেলে তিনগুণ দাম দিয়ে কিনতে হতো।’
