ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

জুলাই আন্দোলনে দৃষ্টিহীন মাহবুবকে ছেড়ে চলে গেলেন স্ত্রী

আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩৬ পিএম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছুরা গুলিতে দুই চোখের আলো হারানো মাহবুব আলমের পাশে শেষ পর্যন্ত স্ত্রীও আর থাকলেন না। চূড়ান্ত বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে চলে গেছেন তিনি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া এলাকায় চোখে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাহবুব আলমের চোখের নার্ভ ছিঁড়ে যায়। সেই সঙ্গে বাঁ চোখের পর্দাও ফেটে যায়। 

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আপাতত আর দেখতে পাবেন না তিনি। জার্মানি কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে চিকিৎসা সম্ভব। কিন্তু আর্থিক সংগতি না থাকায় সেদিকে আর পা বাড়ায়নি পরিবার। এমন অবস্থার মধ্য দিয়েই দিন পার হচ্ছিল মাহবুব আলমের। এরইমধ্যে তার স্ত্রী সংসার ছাড়েন। সবশেষ পারিবারিক সমঝোতার মাধ্যমেই বিচ্ছেদ ঘটান স্ত্রী।

মাহবুবের মা হালিমা বেগম বলেন, ছেলের চোখ বাঁচাতে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পাঁচ দিন পর ২৩ জুলাই ভারতের চেন্নাইয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আবার তার চিকিৎসা চলে থাইল্যান্ডে। ১৭ দিন সেখানে অবস্থানের পর গত ১৫ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরে আসেন তারা। ওই সময় চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, মাহবুবের চোখের আলো ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

মাহবুবের বাবা মশিউর রহমানও বেশ অসুস্থ। তিনি বলেন, এরইমধ্যে মাহবুবের চিকিৎসায় ১০ লাখ টাকার বেশি খরচ করা হলেও চোখের আলো ফেরেনি। চিকিৎসকেরা আশ্বাস দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র বা জার্মানিতে নিতে পারলে মাহবুবের চোখের আলো ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু আমাদের সেই সামর্থ্য নেই। 

গত বছরের ১৮ জুলাই বেলা ১১টা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে নগরের চাষাঢ়া শহীদ মিনার ও গোল চত্বরে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ধাওয়া দেয় ও গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশের গুলিতে দৃষ্টিশক্তি হারান মাহবুব।

RK
আরও পড়ুন