লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে স্ত্রীকে ঘুমন্ত রেখে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন মো. জাবেদ (২৬) নামের এক যুবক।
সোমবার (৬ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নের মধ্য চরমার্টিন গ্রামে টুমচরওয়ালাগো বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. জাবেদ ওই এলাকার মৃত হাফিজ উল্লার ছেলে। তিনি একজন গাড়িচালক। ওই দম্পতির এক বছর বয়সের একটি সন্তান রয়েছে।
এদিকে স্বামীর এমন মৃত্যুতে শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে আহাজারি করছেন স্ত্রী সুমাইয়া বেগম। ধারণা করা হচ্ছে, সংসারে অভাব আর ঋণের কারণে জাবেদ মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এবং আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
নিহতের স্ত্রী সুমাইয়া বেগম জানান, রাত ৯টার দিকে দুজনে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়েন। ঘুম ভাঙার পর স্বামীকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পাশের রুমে গিয়ে দেখতে পান জাবেদ ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস নিয়েছেন। এ সময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে জাবেদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সুমাইয়া আরো জানান, দুই বছর আগে ভালোবাসার সম্পর্কের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু সামান্য রোজগারে চলা সংসারে অর্থ সংকট আর ঋণগ্রস্ততা জাবেদকে মানসিকভাবে ভেঙে দেয়।
নিহতের মা মেশকাত বেগম বলেন, ঘটনার সময় বাড়িতে শুধু জাবেদ ও তার স্ত্রী ছিলেন। অন্য ছেলেরা কেউ বাড়িতে থাকেন না। ছেলে জাবেদের সংসারে অভাব ছিল, ঋণও হয়েছিল কিছু। কিন্তু এমন করবে ভাবিনি।
তিনি জানান, কয়েকদিন ধরে তিনি মেয়ের বাড়িতে ছিলেন। গতকাল রাতে হঠাৎ মোবাইল ফোনে ছেলের মৃত্যুর খবর পান। তখন তিনি ছুটে আসেন, কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। ছেলের মৃত্যুতে শোক সইতে না পেরে বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন মেশকাত বেগম।
কমলনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ফাঁসিতে ঝুলে মৃত্যু ধারণা করা হলেও পরিবারের কথাবার্তায় রহস্য থাকায় মরদেহ ময়নাতদন্তে জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
অটোরিকশার চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে নারীর মৃত্যু