ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

শিশু আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলার রায় আজ

আপডেট : ১৭ মে ২০২৫, ০৮:৪৫ এএম

মাগুরায় ৮ বছরের শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যার মামলার রায় আজ। আলোচিত এ মামলার দুই মাস ১১ দিনের মাথায় শনিবার (১৭ মে) এই মামলার রায় হতে চলেছে।

এর আগে মঙ্গলবার (১৩ মে) বেলা ১১টার দিকে মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এ দিন নির্ধারণ করেন। ওই দিন মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত ৭ মে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ওই দিন শিশুটির ময়নাতদন্তের দায়িত্বে থাকা দুজন চিকিৎসক ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন।

এর আগে মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে ৬ মার্চ ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। ঘটনার পর প্রথমে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল এবং পরে ফরিদপুর ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি ঘটায় নেওয়া হয় ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে। পরে গত ১৩ মার্চ ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আছিয়া।

ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার ৮ মার্চ শিশুটির বোনের শ্বশুর হিটু শেখ, শাশুড়ি জাহেদা বেগম, বোন জামাই সজিব শেখ এবং সজিবের বড় ভাই রাতুল শেখকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় অভিযুক্ত ৪ আসামিই পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। তাদের উপস্থিতিতেই চলছে বিচারিক কার্যক্রম।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন গত ১৩ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট জমা দিলে ২০ এপ্রিল মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান মামলাটি আমলে নিয়ে চার্জগঠনের জন্য ২৩ এপ্রিল তারিখ নির্ধারণ করেন। চার্জ গঠনের পর ২৭ এপ্রিল থেকে শুরু হয় মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ, শেষ হলো ৭ মে বুধবার ঢাকা মেডিকেলের দুই ডাক্তারের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে।

এদিকে মামলার বিচারকার্য চলাকালে অভিযুক্ত মূল আসামি হিটু শেখ আদালতে যাওয়া-আসার পথে উপস্থিত সাংবাদিকদের দেখে প্রতিদিনই নিজেদের নির্দোষ দাবি করে শিশুটির বোন হামিদাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের আহ্বান জানান। অথচ এ ঘটনায় একাই জড়িত বলে গত ১৫ মার্চ তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

এর আগে ৬ মার্চ শিশু ধর্ষণের ঘটনার খবর প্রচার হলে মাগুরাসহ সারাদেশে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। সড়ক অবরোধ, থানা ও আদালত ঘেরাও করে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে অপরাধীর শাস্তি দাবি করেন সর্বস্তরের মানুষ। স্থানীয় আইনজীবীরাও এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচার দাবির পাশাপাশি আসামিপক্ষকে কোনো প্রকার আইনি সহায়তা না দেওয়ার ঘোষণা দেন।

SN
আরও পড়ুন