ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগ দিতে ঢাকা ফিরছে দক্ষিণাঞ্চলের কর্মজীবী মানুষ। গত ৩ এপ্রিল থেকে নৌপথে যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে শুক্রবার (৪ এপ্রিল) প্রতিটি লঞ্চে যাত্রী ছিল অতিরিক্তি।
বরিশাল নদী বন্দর ঘুরে দেখা গেছে, বিকেল থেকেই প্রতিটি লঞ্চে ঢাকামুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ঈদের দুদিন পর অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খুললেও অনেকে ছুটি বাড়িয়ে নিয়েছেন। শুক্রবার ছুটি কাটিয়ে শনিবার থেকে অফিস করার জন্য। প্রতিটি লঞ্চেই ধারণ ক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণ তিনগুন যাত্রী উঠছে।
বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ সেলিম রেজা জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বরিশাল নদী বন্দর থেকে সরাসরি ১১টি ও ভায়া দুইটি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

সুন্দরবন-১৬ লঞ্চের কেবিনের যাত্রী মামুন বলেন, সময় বাড়ার সাথে সাথে যাত্রীর ভিড় বেড়েছে। পরিস্থিতি এমন যে কেবিনের দরজা পর্যন্ত খোলা সম্ভব হচ্ছে না। পুরো লঞ্চের মধ্যে পা ফেলার মতো জায়গা নেই। এমনকি লঞ্চের নামাজের স্থানটুকু পর্যন্ত যাত্রীতে পরিপূর্ণ।
যাত্রী শারমিন বলেন, আসার সময় সারা রাত লঞ্চে একইভাবে কষ্ট করে আসছি, এখন আবার কষ্ট করেই কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে। বিকেল ৫টা থেকে নদী বন্দরে পুলিশ অতিরিক্ত যাত্রী না ওঠা ও সময়মত লঞ্চ ছাড়ার জন্য মাইকিং করতে দেখছি। কিন্তু কোনো কিছুই ঠিক নেই।
যাত্রীদের অভিযোগ, সন্ধ্যা ৬টায় লঞ্চগুলো ছাড়ার কথা থাকলেও রাত ৯টার আগে কোনো লঞ্চ ছাড়েনি। এ অবস্থায় সাধারণ যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বরিশালের নদী বন্দর কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ সেলিম রেজা বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক তদারকি করছি যাতে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে কোনো লঞ্চ না ছাড়ে। এছাড়া আমাদের সার্বিক সহায়তায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রয়েছেন।
