ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

চাঁদা না পেয়ে দুই অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ ৫ জনকে মারধরের অভিযোগ

আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০২৫, ০৬:৪৫ পিএম

ভোলার চরফ্যাশনে চাঁদা না দেওয়ায় দুই অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ ৫ জনকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ভুক্তভোগীদের বসতঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে নগদ ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় বাবুল গংদের বিরুদ্ধে।

‎বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার চরমানিকা ইউনিয়ন ৪ নম্বর ওয়ার্ড চরকচ্ছপিয়া গ্রামের নাসির মুন্সির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। 

‎আহতরা হলেন- বাড়ির মো. নাসির মুন্সি (৬০), তার পুত্রবধু অন্তঃসত্ত্বা রিনা বেগম (২৬), অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে আছমা বেগম (৩৫), স্ত্রী মাকসুদা বেগম (৫৫) ও ছেলে সালাউদ্দিন (৩০)। গুরুতর আহত হয়ে তারা চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।

‎হামলাকারীরা হলেন- একই বাড়ির মো. মোস্তফা মুন্সির ছেলে মো. বাবুল (৪০), তার স্ত্রী মাহিনুর বেগম (৩৮), তার ছেলে সোহাগ (৩০) ও মা আনোয়রা বেগম (৫৮)।

‎হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মো. নাসির মুন্সি বলেন, আওয়ামী লীগ পতনের পর আমাদেরকে আওয়ামী লীগ দোসর আখ্যা দিয়ে প্রতিপক্ষ বাবুল মুন্সী নিজেকে বিএনপি নেতা দাবি করে সম্প্রতি আমার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। সেই টাকা না দেওয়ায় আজ সকালে আমার ছেলে সালাউদ্দিন আমার গাছের নারিকেল পাড়তে গেলে তাকে একা পেয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা ও মারধর করেন।

পরে তার ডাক-চিৎকারে আমিসহ ছেলের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, রিনা বেগম এবং আমার মেয়ে আছমা বেগম ও আমার স্ত্রী মাকসুদা বেগম আগাইয়া গেলে আমাদের সবাইকে প্রতিপক্ষ বাবুলের নেতৃত্বে ১০-১৫ জনে মিলে হামলা ও মারধর করেন। হামলার পর আসবাবপত্র ভাঙচুর করে জমি কেনার ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।

‎তিনি আরো বলেন, আহত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকলে স্থানীয়দের সহয়তায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রওনা হই। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মোড়ে দ্বিতীয় দফায় আমাদের ওপর হামলা ও মারধর করেন বাবুল গংরা। সেখানে এম্বুলেন্সে ২ ঘন্টা আটকে রাখে তারা। আমরা গুরুতর আহত হয়ে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

‎উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মাকলুকুর রহমান জানান, মারপিটের ঘটনায় দুই অন্তঃসত্ত্বা নারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। 

‎এদিকে অভিযুক্ত বাবুলের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করাও সম্ভব হয়নি।

‎দক্ষিণ আইচা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এরশাদুল হক ভুঁইয়া বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

NJ
আরও পড়ুন